
বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 916 বার পঠিত
চকবাজার ট্র্যাজেডিতে বিয়ের ২৬ দিনেই বিধবা হলেন নববধূ স্মৃতি। বাবা মো. আবুল খায়ের ধুমধামে মেয়ে আফরোজা সুলতানা স্মৃতির (২৪) বিয়ে দেনগত ২৮ জানুয়ারি। ভালোই চলছিল সংসার। কিন্তু পোড়া কপাল বলে বুধবার রাতের আচমকা আগুনে জামাতা মাহবুর রহমান রাজু ও তার ছোট ভাই মাসুদ রানা পুড়ে অঙ্গার হয়।
রাজুর শ্বশুর আবুল খায়ের কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এই ছিল কপালে! কতো আয়োজন করে বন্ধু সাহেব উল্লাহর ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস মাস না যেতেই মা (মেয়ে) আমার বিধবা হলো। ওর সামনে আমি কি করে দাঁড়াবো।’
চকবাজারেই কাপড়ের ব্যবসা করেন তিনি। দেখে শুনেই মেয়েকে রাজুর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আগুনের খবর মোবাইলে পেয়ে ছুটে আসি। কিন্তু দোকানের কাছেই যেতে পারিনি। পরে শুনেছি ওরা আগুনের ভয়ে দোকানেরর শাটার বন্ধ করে দিয়েছিল। আর বের হতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজুরা তিন ভাই। রানা টেলিকম নামে তাদের দোকান ছিল। সেখানে ফোন-ফ্যাক্সসহ মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ বিক্রি করতো তারা। ছোট্ট ভাইকে নিয়ে বাবা মাসহ ঢাকাতেই চুড়িহাট্টার পাশের একটা ভবনে থাকতো।
রানা রাজুর বাবা সাহেব উল্লাহর বন্ধু নিজাম উদ্দিন ঢামেক হাসপাতালের মর্গের সামনে কান্নাকাটি করে বলছিলেন, নিজের ছেলের মতো ওদের ভালবাসি। কতো স্মৃতি ওদের সঙ্গে। পরিশ্রমী ছেলে দুটা এভাবে মারা যাবে ভাবতে পারছি না। বন্ধু আমার ব্যবসা করতো এখন বয়স হয়েছে। রানা রাজুই ছিল উপার্জনক্ষম। ছেলে দুটা মরে যাওয়ায় বন্ধুর বেঁচে থাকার মেরুদণ্ডই ভেঙে গেলো।
রাজুর মরদেহের সিরিয়াল ৪০, রানার ১২। মরদেহ নিয়ে গ্রামেরবাড়ি যাবো। সেখানেই দাফন হবে।
Posted ৫:৩৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed