• বৈদেশিক বাণিজ্যে এগিয়ে বেসরকারি ব্যাংক

    বিবিএনিউজ.নেট | ২১ মার্চ ২০১৯ | ১:৩৩ অপরাহ্ণ

    বৈদেশিক বাণিজ্যে এগিয়ে বেসরকারি ব্যাংক
    apps

    ২০১৮ সালে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রফতানি হয়েছে ৭৪ শতাংশ। ১৯ শতাংশ বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ৭ শতাংশ রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে রফতানি হয়েছে।

    ২০১১ সালে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রফতানি হয় ৭১ শতাংশ। সেই সময় রাষ্ট্রায়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে হয়েছিল ১৮ শতাংশ। আর বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল ১১ শতাংশ।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    বুধবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়াম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে ‘ট্রেড সার্ভিসেস অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

    প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।


    কর্মশালার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ট্রেড সার্ভিসের উপর নির্ভরশীল। প্রত্যেকটি দেশে ট্রেড সার্ভিসের ক্ষেত্রে আলাদা রেগুলেশন রয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৮ সালে নতুন গাইডলাইন করা হয়।

    তিনি বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে নতুন গাইড লাইন আরও কার্যকরী করতে হবে। এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইনভিত্তিক রিপোর্টিং এবং নজরদারি ব্যাংকিংখাতে অনিয়ম ঠেকাতে ও ডাটা সঠিকভাবে প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    বিআইবিএম’র চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, ব্যাংকিংখাতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে, এজন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা প্রয়োজন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রফতানির প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। এর সঙ্গে ব্যাংকের অর্থায়ন জড়িত। সুতরাং ব্যাংকর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ জোরারোপ করতে হবে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপার নিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ব্যাংকাররা সর্তক থাকলে আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে কোনো অনিয়ম করার সুযোগ নেই।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আব্দুর রহিম বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য প্রবৃদ্ধিও বাড়ছে। এজন্য আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে কোথায় সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যাংকারদের বড় ঋণ এবং বড় এলসি খোলার ক্ষেত্রে সর্তক থাকতে হবে। গ্রাহক সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে অর্থায়ন করা ঠিক নয়।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারিকুজ্জামান বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য যেমন বেড়েছে, একে ঘিরে জটিলতা এবং আর্থিক অপরাধও বাড়ছে। যা এখন ব্যাংকিংখাতের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাংক কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।

    এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) কাস্টমস ভ্যালুশন অ্যান্ড ইন্টারনাল অডিট কমিশনারেটের কমিশনার ড. মঈনুল খান বলেন, রাজস্ব বোর্ড আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের সব বিষয়ে সর্তক। এখন কিছুক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপন আপডেট করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক মূল্যায়ন এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা অধিদফতরের কমিশনার ড. মঈনুল খান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আব্দুর রহিম।

    বিআইবিএমর কর্মশালাটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিস থেকে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারিকুজ্জামানসহ সিলেট শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের অডিটোরিয়ামে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারিকুজ্জামান।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১:৩৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০১৯

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    Archive Calendar

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫১৬
    ১৭১৮১৯২০২১২২২৩
    ২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি