
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১ | প্রিন্ট | 596 বার পঠিত
চলতি বছরের মে মাসে শেষ হচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের প্রতিষ্ঠান খুলনা পাওয়ার কোম্পানির দু’টি পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তির মেয়াদ। আর এ দু’টি চুক্তি নবায়নের বিষয়ে এবং কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ ব্যাবসায়িক কর্মপরিকল্পনা জানতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিএসইসির কার্যালয়ে এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সকল পরিচালকদের ডাকা হয়েছে।
একইসঙ্গে কোম্পানিটির ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যৎ কমপরিকল্পনা লিখিত আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোম্পানিটির যদি কোনো ভবিষ্যৎ ব্যাবসায়িক কর্মপরিকল্পনা না থাকে, তাহলে কিভাবে কোম্পানিটির অবসায়ন করা হবে- সে বিষয়টিও জানতে চেয়েছে বিএসইসি।
এর আগে গত ১৫ মার্চ বিএসইসির সঙ্গে ব্যবসায়িক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি। ওই বৈঠকের আলাকেই কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ভবিষ্যৎ ব্যাবসায়িক কর্মপরিকল্পনা জানতে বিএসইসিতে তলব করা হয়েছে।
তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে ‘অডিট আপত্তি’ হিসেবে কোম্পানির ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে নিরীক্ষক এ. কাশেম অ্যন্ড কোং চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস।
নিরীক্ষকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শেয়ারবাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ারের দু’টি পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তির মেয়াদ আগামী মে মাসে শেষ হতে যাচ্ছে। আর চুক্তি নবায়নের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত অগ্রগতি নেই। ফলে কোম্পানির ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
নিরীক্ষক আরো জানায়, আর্থিক হিসাবের ৪৮নং নোট অনুযায়ী, খুলনা পাওয়ারের দু’টি প্লান্ট থেকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলোপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) বিদ্যুৎ কেনার চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ চলতি বছরের মে মাসে শেষ হবে। এর মধ্যে একটির মেয়াদ শেষ হবে ২৮ মে এবং অপরটির ৩১ মে। মেয়াদ শেষের পথে থাকায় খুলনা পাওয়ার কোম্পানি কর্তৃপক্ষ চুক্তি নবায়নের জন্য বিপিডিবিকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু বিপিডিবি তার জবাব দেয়নি। এ পরিস্থিতিতে কোম্পানির ভবিষ্যৎ ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে ডাকা হয়েছে।’
এদিকে খুলনা পাওয়ারের কোম্পানি সচিব মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি জানতে পারেন।’
‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৭০০ কোটি টাকা এবং ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৭৯টি শেয়ারের মধ্যে ৬৯.৯৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৮.৩৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৩০ শতাংশ বিদেশি এবং ২১.৩৩ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
Posted ১১:১২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১
bankbimaarthonity.com | saed khan