৯ম রমজান

ইফতারের সময় বাকি আছে

00 ঘন্টা
00 মিনিট
00 সেকেন্ড

ইফতারের সময় হয়েছে।
ইফতার করুন।

শুধুমাত্র ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য

সেহরির সময় বাকি আছে

00 ঘন্টা
00 মিনিট
00 সেকেন্ড

শুধুমাত্র ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য

Advertisement
  • ব্যাংকে বাড়ছে যন্ত্রে বিনিয়োগ

    আদম মালেক | ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ | ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

    ব্যাংকে বাড়ছে যন্ত্রে বিনিয়োগ
    apps

    গ্রাহক টানতে সেবাদানে প্রতিযোগিতা বাড়ছে ব্যাংকিং খাতে। স্বহস্তে পর্যাপ্ত সেবার অভাবে ঘটছে যন্ত্রের বিস্তার। আর এই যন্ত্র ক্রয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগে যাচ্ছে অনেক বেসরকারি ব্যাংক। ভবিষ্যতে আরো বিনিয়োগের জন্য পরিকল্পনা রয়েছে অনেক ব্যাংকের।

    ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানায়, পুরোনো পদ্ধতিতে গ্রাহক চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। তাই মান্ধাতার আমলের ব্যাংকিং থেকে সরে আসছে দেশীয় ব্যাংকগুলো। এক গাদা নথিপত্রের জায়গায় এসেছে কম্পিউটার। টাকা উত্তোলনে শাখা নির্ভরতা কমাতে স্থাপিত হয়েছে এটিএম বুথ। টোকেনের ব্যবহার বহু আগেই বন্ধ। টাকা জমায় ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন পেছনে ফেলে এসেছে (সিডিএম) ক্যাশ রি-সাইকেলার মেশিন (সিআরএম)। সম্প্রতি এই যন্ত্রে ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    দেশের আটটি ব্যাংক ইতিমধ্যে ক্যাশ রি-সাইকেলার মেশিন বা সিআরএম চালু করেছে। সিআরএম ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট গুনে নিচ্ছে এবং দিচ্ছেও। টাকা আসল না জাল, তা-ও ধরা পড়ছে সিআরএমে। জমার স্লিপে থাকছে টাকার নম্বরসহ কী পরিমাণ জমা হলো, তার হিসাব। যন্ত্রটি প্রতি সেকেন্ডে ৮-১০টি নোট গুনতে সক্ষম। জানা গেছে, বর্তমানে একটি সিআরএমের দাম ১৪-১৫ লাখ টাকা। আর একটি এটিএমের দাম ৪-৫ লাখ টাকা।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে ব্যাংকগুলোর মোট সিআরএম ছিল ২২৯টি। এ বছরের সেপ্টেম্বরে যা বেড়ে হয়েছে ৪৪৪টি। আর অক্টোবরে সিআরএম বেড়ে হয়েছে ৫৪৫টি। এক মাসেই শতাধিক যন্ত্র স্থাপন করেছে ব্যাংকগুলো। গত জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরেই সবচেয়ে বেশি সিআরএম চালু হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে যেখানে সিআরএমের মাধ্যমে জমা হয়েছিল ১৭০ কোটি টাকা, সেখানে এবার একই মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। অক্টোবরে লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা।


    এই যন্ত্র স্থাপনে শীর্ষ ব্যাংকগুলোর একটি বেসরকারি খাতের সাউথইস্ট ব্যাংক। ব্যাংকটির বর্তমানে ৮০টি সিআরএম চালু রয়েছে। আগামী মাসে চালু হবে আরো ৩০টি যন্ত্র। ব্যাংকটি রাজধানীর পাশাপাশি বিভাগীয় ও জেলা শহরেও সিআরএম বসিয়েছে।

    সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন বলেন, যেসব শাখায় বেশি ভিড় হচ্ছে, আমরা সেখানেই সিআরএম বসিয়ে দিচ্ছি। একটি যন্ত্র দুজন ক্যাশ কর্মকর্তার কাজ করে। কোনো ঝুঁকি নেই। এ কারণে এই যন্ত্রে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছি। এটা অব্যাহত থাকবে। করোনা ভাইরাসের কারণে এখন সবাই যন্ত্রনির্ভর সেবায় নজর বাড়াচ্ছে।’

    দেশে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত টাকা জমা ও উত্তোলনের জন্য ব্যাংকের শাখাই ছিল একমাত্র ভরসা। ওই বছরে তৎকালীন এএনজেড গ্রিন্ডলেজ (বর্তমানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) ব্যাংক প্রথম অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) বুথ স্থাপন করে। এ সময় তারা ডেবিট কার্ডের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডও চালু করে। এরপর এক এক করে অন্য ব্যাংকগুলোও এ সেবায় আসে।

    আগে গ্রাহকদের ব্যাংকে টাকা জমা দিতে দীর্ঘসময় লাগতো। ২০১০ সালের দিকে ব্যাংকগুলো ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন (সিডিএম) অর্থাৎ টাকা জমা দেওয়ার মেশিন বসানো শুরু করে। তবে এ সেবায় গ্রাহকরা যন্ত্রে টাকা জমা দিলেও হিসাবে তাৎক্ষণিকভাবেই জমা হয় না। ব্যাংক কর্মকর্তারা দিনে একবার জমা করা টাকা শাখায় নিয়ে জমা করেন। দুপুরের পর টাকা জমা হলেই তা পরের দিনের হিসাবে চলে যায়। গত সেপ্টেম্বরে চালু থাকা সিডিএম ছিল ১ হাজার ৪৯৯টি। এ সেবায় শীর্ষে রয়েছে ডাচ্-বাংলা ও ইসলামী ব্যাংক।

    সিডিএমে তাৎক্ষণিকভাবে টাকা জমা না হওয়ায় গ্রাহকরা অনেক সময় সমস্যায় পড়েন। তাই সমস্যার সমাধানে ২০১৭ সাল থেকে সিআরএম যন্ত্র স্থাপন শুরু হয়। শুরুর দিকে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও দি সিটি ব্যাংক এই যন্ত্র স্থাপন করে। ধীরে ধীরে এখন আটটি ব্যাংক সিআরএম যন্ত্র স্থাপন করেছে। অন্য ছয়টি ব্যাংক হলো সাউথইস্ট, এনসিসি, ইসলামী, ইস্টার্ন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ও ন্যাশনাল। শিগগিরই আরো কয়েকটি ব্যাংক এই যন্ত্র স্থাপন শুরু করবে। প্রতিটি সিআরএম ব্যাংকের কোনো না কোনো শাখার সঙ্গে যুক্ত থাকে।

    বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান এই যন্ত্র আমদানি করে ও কারিগরি সহায়তা দেয়। কোম্পানি দুটি হচ্ছে- জারা জামান টেকনোলজি ও টেকনো মিডিয়া লিমিটেড।

    জারা জামান টেকনোলজির অপারেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান এসএম গিয়াস উদ্দিন বলেন, করোনায় অনেক ব্যাংক খরচ করতে আগ্রহী হয়নি। তবে সম্প্রতি বেশ ভালো অর্ডার এসেছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ সিআরএম সরবরাহ করা হয়েছে।

    টেকনো মিডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক যশোদা বলেন, করোনার মধ্যে অনেক ব্যাংক এই যন্ত্র স্থাপনের জন্য অস্থির হয়ে গেছে। আমরা এই সময়ে প্রায় ৫০০ যন্ত্র স্থাপন করেছি। সবক’টি এখনো চালু হয়নি। আরো এক হাজার যন্ত্র সরবরাহের অর্ডার পেয়েছি। টাকা গণনা ও জাল টাকা ধরার সুবিধা থাকায় ব্যাংকগুলো এই যন্ত্রে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    রডের দাম বাড়ছে

    ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

    Archive Calendar

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
    ১০১১১২১৩১৪
    ১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
    ২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
    ২৯৩০  
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি