বিবিএনিউজ.নেট | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৩:১০ অপরাহ্ণ
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরাসরি গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে সঞ্চয়পত্রের সুদ বা মুনাফা প্রদান করা হচ্ছে। তবে অনেক সময় গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত তথ্য ভুল থাকায় ইএফটি ফেরত আসে, যা গ্রাহকের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়।
এদিকে এ সমস্যা সমাধানে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে বলে বলছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচির পর্যবেক্ষণ। পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’র সাথে সঞ্চয়পত্র লেনদেনকারী সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ডাটাবেজের এপিআই স্থাপন করা হলে এ সমস্যা দূর হবে।
সম্প্রতি অর্থ সচিবের কাছে সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি তাদের পর্যবেক্ষণ পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়, কর্মসূচির আওতায় ‘জাতীয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’র মাধ্যমে বর্তমানে সারাদেশে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র লেনদেন করা হচ্ছে। সেগুলো হলো- তিন মাস মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র।
এসব ক্ষেত্রে ইএফটি এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরাসরি গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে সুদ বা মুনাফা প্রদান করা হয়। কিন্তু অনেক সময় গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত তথ্য ভুল থাকায় ইএফটি ফেরত আসে, যা গ্রাহকের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়। অনেক অবসরপ্রাপ্ত পেনশনার, বৃদ্ধ, মহিলা যথা সময়ে সুদ বা মুনাফা না পাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েন।
এ সমস্য সমাধানে ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন সিস্টেম’র সাথে সঞ্চয়পত্র লেনদেনকারী সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস (এপিআই) প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। যাতে গ্রাহকের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ভিত্তিতে ব্যাংক হিসাবের সঠিকতা যাচাই করা সম্ভব হয়। বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন সিস্টেমের সাথে ‘সঞ্চয়পত্র অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’র এপিআই স্থাপনের ফলে এনআইডির ভিত্তিতে গ্রাহকদের টিআইএন যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ৩:১০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed