
বিবিএনিউজ.নেট | সোমবার, ২৭ মে ২০১৯ | প্রিন্ট | 448 বার পঠিত
রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে। রোববার রাতেই অজ্ঞাতদের আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় এ মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নং ৪৬)। পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আলীকে মামলা তদন্তের দায়িত্বে দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্টন থানার ডিউটি অফিসার টিএসআই মাইদুল ইসলাম জানান, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি অজ্ঞাত।
এর আগে রোববার রাত ৯টায় রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে সিএনজি পাম্পের বিপরীতে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক পূর্ব (সবুজবাগ) বিভাগের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা খাতুন, রিকশাচালক লাল মিয়া এবং আরেক পথচারী আহত হন।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরক ছুঁড়ে মারা হয়েছিল না কি পরিকল্পিত হামলা তা তদন্ত করে দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনাস্থলে আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে, বিস্তারিত দেখার পর এক্সপার্টরা বলতে পারবে আসলে বিস্ফোরকটি ছুঁড়ে মারা হয়েছিল, না কি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল।
অপরদিকে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত রিকশাচালক লাল মিয়াকে দেখার পর সাংবাদিকদের বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনমনে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এ ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে এটি সাধারণ ককটেলের চাইতে শক্তিশালী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বোমাটি গাড়িতে পেতে রাখা হয়েছিল।
হামলাকারীদের বিষয়ে ডিএমপি প্রধান বলেন, কাউন্টার টেরোরিজম, ডিবি, সিআইডি ঘটনাস্থলে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। কারা, কী উদ্দেশ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটি কী ধরণের বিস্ফোরক তা কাউন্টার টেররিজমের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট খতিয়ে দেখছে।
তিনি বলেন, এটি পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে, না কি অন্য কোনো লক্ষ্যে করা হয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Posted ১:৪৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৭ মে ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed