ব্যাংক প্রতিবেদক | সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ | প্রিন্ট | 487 বার পঠিত
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে পদোন্নতির নয়া নীতিমালা প্রশ্নবিদ্ধ। এতে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। ২০১৭ সালে প্রণীত নীতিমালাকে উপেক্ষা করে চলতি খসড়া নীতিমালার আলোকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্য অভিজ্ঞ ও সৎ কর্মকর্তারা বাদ পড়বেন। জায়গা করে নেবেন অযোগ্য ব্যক্তিরা। এমন আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্র মালিকানধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো ‘উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিটি প্রার্থীদের শিক্ষা ও পেশাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন, চাকরিগত সুনাম ইত্যাদি পর্যালোচনা করে পদোন্নতির জন্য কর্মকর্তাগণের নাম সুপারিশ করবেন।’ এ সুপারিশের আলোকে সিনিয়রের ভিত্তিতে ডিএমডি পদোন্নতি হয়ে আসছে। কিন্তু বিদ্যমান এ প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে পদোন্নতির ক্ষেত্রে নতুন একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, জিএম থেকে ডিএমডি পদোন্নতির ক্ষেত্রে মাত্র ২ বছর আগের নীতিমালা গোপন রেখে নতুন করে খসড়া নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। নতুন খসড়া নীতিমালায় পদোন্নতির ক্ষেত্রে মোট ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) এ ২৫ নম্বর রাখা হয়েছে। এছাড়া নেতৃত্বের পরিমাপে ৫ নম্বর, চাকরিজীবনে বহুমুখী অভিজ্ঞতায় ২, প্রশিক্ষণে (অভ্যন্তরীণ/বিদেশিক) ৭, প্রকাশনায় ২, ইনোভেশনে ৪, কমিউনেকশেনে ২, সঙ্কটময় পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষেত্রে ৫, সাক্ষাতকার গ্রহণে রয়েছে ১০ নম্বরসহ একাধিক যোগ্যতা মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে যা বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই।
নম্বর বিভাজনের ক্ষেত্রে যোগাযোগ, ট্রেনিং, নেতৃত্বের পরিমাপ, প্রকাশনা এবং সঙ্কটময় পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং মৌখিক পরীক্ষায় যেসব নম্বর রাখা হয়েছে তা অস্বচ্ছ ও মনগড়া। এটি কোন কোন বিশেষ মহলকে খুশী করা এবং অযোগ্য ব্যক্তিদের পার করে নেয়ার জন্য নম্বর বিভাজন করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা উল্লেখ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার বিভিন্ন সরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, ডিএমডি পদোন্নতির ক্ষেত্রে খসড়া নীতিমালাটি পদোন্নতির নামে প্রহসন মাত্র। এতে যারা নন ব্যাংকার যাদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নেই, একই সঙ্গে যারা নিয়মিত ব্যাংকিং কাজ বাইরে রেখে কর্তাদের খুশি করছেন তারাই কেবল পদোন্নতি পাবেন। এখানে পদোন্নতির প্রক্রিয়া নিয়ে শুভঙ্করের ফাঁকি দেয়া হয়েছে।
Posted ৬:৫৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed