| বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট | 115 বার পঠিত
সরকার বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৯২৭ কোটি টাকা ছাড় করেছে। অর্থ পরিশোধ নিয়ে জটিলতার মধ্যেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছর সংশোধিত বাজেটের পরিচালনা ব্যয়ের এই টাকা ছাড় করা হয়েছে। সম্প্রতি অর্থ বিভাগ থেকে এক চিঠির মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অর্থ বিভাগের বরাদ দিয়ে ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের পরিচালন ব্যয়ের সরকারি অর্থের এই বড় অংশ ছাড় করার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই অর্থ ছাড়ের ফলে এ বছরের জন্য আর অর্থ থাকল না। রাশিয়ার স্থানীয় ঠিকাদারা এ অর্থ ঈদের আগেই পেয়ে গেছে। রাশিয়ার ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ দিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামো ও রিঅ্যাক্টর কিনতে ব্যয় করা হচ্ছে।
সূত্র মতে, গত বছর আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্য সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) থেকে বাদ দেয় রাশিয়াকে। এরপর থেকে বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি এবং বিদেশি বিশেষ করে রাশিয়ান, বেলারুশ ও কাজাখস্থানের অধিবাসী যারা রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করেন তাদের বেতন পরিশোধ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর জানুয়ারির দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক চীনের সোনালী ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে কিছু কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের বেতন দিতে সক্ষম হয়েছিল। রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এ প্রকল্পে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক কোম্পানি রোসাটম স্থানীয় সাব কন্ট্রাক্টে দেশীয় মুদ্রায় তাদের কাজের অর্থ দেওয়া শুরু করেছে।
সূত্র মতে, ঋণের দুই বছরের কিস্তি এখন রাষ্ট্রীয় সোনালী ব্যাংকে জমা আছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণের অর্থ রাশিয়াকে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে পরিশোধ করার সিদ্ধান্তের কথা শোনা গেছে। এখনও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর চূড়ান্ত সম্মতি দেয়নি। চীনের মুদ্রায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে রাশিয়ার ঋণের অর্থ পরিশোধ করলে অবশ্যই বাংলাদেশ আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
চলতি অর্থবছরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের ঋণের বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং পরিচালন ব্যয় বাবদ ধরা হয়েছিল ১২ হাজার কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ১৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং পরিচালনা ব্যয় কমিয়ে ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পাবনার রূপপুরে ১২ দশমিক ৫৬ বিলিয়ান ডলারের এ প্রকল্প নির্মাণ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক কোম্পানি রোসাটম। বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথমটির নির্মাণকাজ চলছে। প্রকল্পে দুটি ইউনিট বাস্তবায়ন হলে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
এ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ অর্থায়ন রাশিয়ার ঋণের মাধ্যমে করা হয়েছে। ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৮ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ২০২৪ সালে প্রথম ইউনিট ও ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু করার কথা রয়েছে।
Posted ৬:৩০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy