বিবিএনিউজ.নেট | বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট | 811 বার পঠিত
ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির ভিন্ন ভিন্ন দেশে অবস্থান হলেও বাঙালি কখনও তার নিজস্ব কৃষ্টি কালচার ভুলে যায় না। সব সময় একে অপরের সাথে সুখে দুঃখে মিলে মিশে থাকে। মিলিত হয় মিলন মেলায়। এমনই এক সন্ধ্যায় বাংলাদেশের ভৈরবের লন্ডন প্রবাসী অধিবাসীরা মিলিত হয়েছিল রেডব্রিজ টাউন হলে। সপ্তাহের শেষ দিন রোববারে অনুষ্ঠিত ভৈরব মিলনমেলার জাঁকজমক পূর্ণ এই অনুষ্ঠানের প্রথমে কোরআন তেলওয়াত করে ফাহিম আহমেদ। স্কুলে পড়য়া অর্ধশতাধিক কোমলমতি বাচ্চাদের সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
কামরুজ্জামান সাফির স্বাগত বক্তব্যে উঠে আসে ভৈরববাসীর মিলনমেলার উদ্দেশ্য। ভৈরব বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি নদী বন্দর ও বাণিজ্যিক শহর।
তবে ব্যবসায়িক কোন উদ্দেশ্যে এই মিলনমেলা নয়। সবার সাথে মিলে থাকা ও লন্ডনে বসবাস করা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় আরো উৎসাহিত করাই এর মূল লক্ষ্য। এদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এরকম ৬৯ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। সেই সাথে আরো ৫০ জন ভৈরব প্রবাসী মুরব্বিকেও এই মিলনমেলার পক্ষ থেকে ক্রেস্ট উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জনানো হয়। রাখা হয় বাচ্চাদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুশিশোরদের চারটি গ্রুপে ভাগ করে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। প্রতিটি গ্রুপে একজন গ্রুপ লিডারের অধীনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ৯০ জন শিশু-কিশোরের মধ্যে থেকে ৪টি গ্রুপে ৩জন করে মোট ১২জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে অংশগ্রহণকারী সবাইকেই সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় প্রতিটি গ্রুপে টিম লিডার হিসাবে সহযোগিতা করেন তানিয়া রহমান, নুসরাত জামান, শাহনাজ আনোয়ার, সাপিয়া হোসাইন।
শেষ পর্বে আয়োজন করা হয় এক মজার প্রতিযোগিতামূলক খেলা। কুইজের মাধ্যমে বাছাই করা ১০ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে মজার খেলার শেষ ধাপে ৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানটির ভিন্ন ভিন্ন ধাপে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কবির আহমেদ, নাজির আজহার, আল আমিন, রনি, সাদিয়া ইসলাম, মেহেদী হাসান ও ইসতিয়াক চৌধুরী মান্না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন ।
Posted ১২:০৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed