
| মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 49 বার পঠিত
৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেমিনি সী ফুড লিমিটেডের শেয়ার কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে ওই ৫ ব্যক্তিকে ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিকন ফার্মারসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ এবাদুল করিম, তার ছেলে-মেয়ে এবং পারিবারের সদস্যরা জেমিনি সী ফুড লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ মে পর্যন্ত সময়ে মোহাম্মদ এবাদুল করিমসহ তার পরিবারের সদস্যরা জেমিনি সী ফুডের শেয়ার দাম যোগসাজস করে বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় এনেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
কারসাজিকারীদের মধ্যে রয়েছেন- এবাদুল করিমের দুই সন্তান, তার শ্যালক ও নিকটতম আত্মীয়। এর মধ্যে মোহাম্মদ এবাদুল করিমকে ১১ লাখ টাকা, তার মেয়ে রিসানা করিমকে ২ কোটি ১২ লাখ টাকা, তার ছেলে উফাত করিমকে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, তার শ্যালক সোহেল আলমকে ১০ লাখ টাকা ও ফাতেমা সোহেলকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার কারসাজির জন্য মোট ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসইসির তথ্য অনুযায়ি, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ মে পর্যন্ত সময়ে মোহাম্মদ এবাদুল করিমসহ ৫ ব্যক্তি যোগসাজশ করে জেমিনি সী ফুডের শেয়ার লেনদেন করে। কারসাজিকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার যোগসাজস করে দাম বাড়ায়। আলোচ্য সময়ের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৩৪১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯৩৪ টাকা ৪০ পয়সায় নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫৯২ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৭৩.৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
এর আগে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের শেয়ার কারসাজি করার দায়ে মোহাম্মদ এবাদুল করিমকে বড় অংকের জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী নুরুন নাহার, তার মেয়ে ও তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বড় অংকের জরিমানা করা হয়।
Posted ১০:৫৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
bankbimaarthonity.com | saed khan