• অর্থমন্ত্রীর উৎসে কর কমানোর ঘোষণা কার্যকর হয়নি

    সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছে গ্রাহকরা

    আব্দুল্লাহ ইবনে মাস্উদ | ২১ অগাস্ট ২০১৯ | ৪:১৯ পিএম

    সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছে গ্রাহকরা
    apps

    পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ কমানো হবে ২৮ জুলাই এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। সে সময় তিনি বলেছিলেন, শিগগিরই এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হবে। কিন্তু আজকে পর্যন্ত তা হয়নি। ফলে গ্রাহকরা রয়েছেন বিভ্রান্তি আর আস্থাহীনতায়। চলতি ২০১৯-২০২০ বাজেটে এ খাতে উৎসে কর বৃদ্ধি ও সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের ব্যাংক হিসাব থাকা বাধ্যতাম‚লক করায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অর্ধেক পরিমাণ সঞ্চয়পত্রও বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর।
    এ ছাড়া এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে চাইলে ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। আবার ব্যাংক হিসাব করতে গেলে ব্যাংকে যেতে হবে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে হবে, যা অনেকেরই নেই। এতে গ্রাহকদের মধ্যে সঞ্চয়পত্রের প্রতি ঝোঁক কমে গেছে। দেশের পোস্ট অফিসগুলোতেও সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের ভিড় আর আগের মতো নেই।

    এ বিষয়ে সঞ্চয় অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও জনসংযোগ) মো. আবু তালেব সাংবাদিকদের বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পর আমরা অফিশিয়াল কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। ফলে সার্কুলার জারি হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে খুব দ্রæতই এর সমাধান হবে।’ এ ছাড়া আগের বছরের তুলনায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে গেছে বলে জানান তিনি। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের তথ্যমতে, বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৯০ হাজার ২৮০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। বাজেটে এর লক্ষ্য ছিল ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

    এর মধ্যে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ পূর্তির কারণে আসল ও সুদ পরিশোধ করা হয় ৪০ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। আর চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকার ২৭ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

    তবে অনেক গ্রাহক বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের অন্য ব্যাংকগুলো থেকে সঞ্চয়পত্র কিনছেন। অন্যদিকে এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে অর্থ বিভাগ। এতে করে এ খাতে নামে-বেনামে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে, যা সঞ্চয়পত্র খাতে এক ধরনের শৃঙ্খলা নিয়ে আসবে বলে মনে করেন অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা। অবশ্য গ্রাহকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, ভোগান্তির কারণে সাধারণ গ্রাহকরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৭ জুন বাজেট ঘোষণার পর থেকেই ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আবার অর্থমন্ত্রী সেটি ৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ গ্রাহকদের ফেরত দিতে হবে। ২৮ জুলাই অবশ্য অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, যে অর্থ ইতিমধ্যে কেটে নেওয়া হয়েছে তা গ্রাহকরা অবশ্যই ফেরত পাবেন। কিন্তু বাজেট পাসের প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানেন না গ্রাহকরা। এমনকি তাদের অর্থ কোন প্রক্রিয়ায় কবে ফেরত পাবেন তাও জানেন না তারা।


    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ৪:১৯ পিএম | বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০১৯

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    রডের দাম বাড়ছে

    ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

    November 2023
    S S M T W T F
     123
    45678910
    11121314151617
    18192021222324
    252627282930  
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি