আদম মালেক | সোমবার, ০৩ জুন ২০১৯ | প্রিন্ট | 693 বার পঠিত
ঈদের বাকি দুই-একদিন। রাজধানী থেকে নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছে মানুষ। কারও হাতে ব্যাগ পুটলি কারও কোলে শিশু। তাই রাজধানীর নদীবন্দর সদরঘাটেও যাত্রীর ভিড় বাড়ছে। তবে উপচে পড়া ভিড় এখনও পড়েনি।
সোমবার রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বেলা সাড়ে বারোটা সময়েও যাত্রীর উপস্থিত স্বাভাবিক। লোকজন ধীরে ধীরে টার্মিনালে ঢুকছে। আসন নিচ্ছে টার্মিনালে। তবে সে সময় পর্যন্ত যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন লঞ্চ কর্মী ও যাত্রীরা। অবশ্য এর কিছু পরেই ধীরে ধীর যাত্রীর ভিড় বাড়তে থাকে। বিকালে যাত্রী আরও বাড়বে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
তবে অন্যান্য রুটের মধ্যে সকালে লালকুঠির ঘাটে চাঁদপুরগামী যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায়। বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী রুটেও বেশ ভিড় ছিল।
গত চারদিন সকালে যাত্রীদের সামান্য চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যেতো। কিন্তু সকাল থেকে যাত্রীর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে।
বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা বলেন, রোববার সদরঘাট থেকে ১১৩টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ৪১টি লঞ্চ ছেড়ে যায়।
এম ভি ফারহান-৮ এর কর্মী মো. মো. ওসমান বলেন, যাত্রী ধীরে ধীরে বাড়ছে। গার্মেন্ট্স কর্মীরা আসলে বিকালে আরও বাড়বে।
মো. মোয়াজ্জেমের বাড়ি শরীয়তপুর। লঞ্চের অপক্ষোয় আছেন। তিনি জানান, বাড়ি যাব। লঞ্চ ছাড়তে দেরী আছে। যাত্রীর ভিড় একটু একটু বাড়ছে। বিকেলে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। তবে উপচে পড়া ভিড় হবে বলে মনে হয় না।
এমভি রেডসান লঞ্চের কর্মচারী মো. শরিফ বলেন, যাত্রীর চাপ থাকলেও উপচে পড়া ভিড় নেই। আগে ঈদের সময় পল্টুনগুলোতে লোকে ঠাসা ছিল।বিকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় হবে বলে আশা করছি।
এমভি আওলাদ লঞ্চের ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, আগে লঞ্চগুলো ছোট ছিল। এখন বড় বড় লঞ্চ হয়েছে। তাই পল্টুন ঠাসা যাত্রী দেখা যাবে না।
সেখানে কর্মরত ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মো. সুজন জানান, আমাদের প্রস্তুতি যথেষ্ট। এখানে আমাদের ২টি ইউনিট কাজ করছে। লোকবলও কম নয়। প্রতি ইউনিটে ১০ জন সদস্য। আরও আছে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। রয়েছে স্পিড বোটসহ নানা সরঞ্জাম।
Posted ৪:০৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৩ জুন ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed