নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ মে ২০২১ | ৪:১১ অপরাহ্ণ
নতুন প্রতিষ্ঠান ও এর কার্যক্রম নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলসহ সাধারণ মানুষের কৌতুহল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য জনগণকে সঠিক সংবাদ প্রদান করে কৌতুহল মেটানোর দায়িত্ব পালন করে একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ খ্যাত গণমাধ্যম কর্মীরা। কিন্তু তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের সাথেই লুকোচুরি খেলতে হলো বীমা খাতে নতুন কোম্পানি এনআরবি ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পর্ষদকে।
জানা গেছে, গত ৬ মে বীমা খাতে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র অনুমোদন পায় পঞ্চম প্রজন্মের এনআরবি ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। একইদিন অনুমোদন পায় আরেক প্রতিষ্ঠান বীচল্যান্ড ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এ নিয়ে বীমা খাতে মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮০টি। নতুন কোম্পানি হওয়ায় বীমা সংশ্লিষ্ট মহলে কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু অনাকাঙ্খিতভাবে গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানে নারাজ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ।
এনআরবি ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান জিএম কিবরিয়া
অনুমোদন প্রাপ্তির পর কয়েকটি গণমাধ্যমের কর্মীরা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে গেলে তাদের সাথে দেখা করেননি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জি এম কিবরিয়া। এর পরিবর্তে তাদেরকে লাইলাতুল কদরের পরে দেখা করার পরামর্শ দেন কোম্পানির সিইও। কিন্তু পরবর্তী তারিখে সাংবাদিকরা সেখানে গেলেও দীর্ঘক্ষণ তাদের বসিয়ে রাখেন ব্যবস্থাপনা পর্ষদ। একসময় অপেক্ষমান গণমাধ্যম কর্মীদের ঈদের পরে চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে বলেন সিইও শাহ্ জামাল হাওলাদার।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য সংগ্রহে দুই দিন কার্যালয়ে যাওয়ার পরও তথ্য না দেয়া এবং বার বার দেখার করতে সময় দিয়েও দেখা না করায় কোম্পানির কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিকদের মাঝে। তারা মনে করছে প্রতিষ্ঠানটিতে অনিয়মের কিছু ঘটেছে। তাই পরিচালনা পর্ষদ বার বার সময় দেয়ার পরও দেখা করছে না। যেন গণমাধ্যমের সাথে লুকোচুরি চলছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের।
বাংলাদেশ সময়: ৪:১১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy