
| বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট | 541 বার পঠিত
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও একটি অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে গ্রাহকের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুদক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শিগগিরই অনুসন্ধান টিম গঠন করা হবে বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে দেশে বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে ব্যাংকটির খুলনা শাখা ও কাঁটাখালী শাখা ব্যবহার করে আমদানি-রফতানি ও ঋণের আড়ালে নানাবিধ দুর্নীতি, অনিয়ম, জালিয়াতির মাধ্যমে আমানতকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২(শ) ধারায় সম্পৃক্ত অপরাধ অভিযোগ অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
এ অভিযোগ ছাড়াও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ওই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
অনুসন্ধানে ঋণ জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আমজাদ হোসেন ও তার পরিবারবর্গের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের জন্যও চিঠি দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নিজ, তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে থাকা ব্যাংকের শেয়ার বিক্রির ওপর। এমনকি সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৭৬টি চিঠি দেয় দুদক।
এর আগে ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি আমজাদ হোসেন, তার স্ত্রী ও কন্যার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞায় চিঠি দেয় দুদক। ঋণ জালিয়াতি, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলীয় কর্মকাণ্ডে অর্থায়নসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। ওই চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ ছিল।
ঋণ জালিয়াতির বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন। মেসার্স আলফা এক্সেসরিজ অ্যান্ড এগ্রো এক্সপোর্ট লিমিটেডের নামে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার অনিশ্চিত শ্রেণিকরণ ঋণ থাকা সত্ত্বেও নিয়মবহির্ভূতভাবে আরও ২০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।
Posted ৬:৩৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy