| ৩১ জুলাই ২০২০ | ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : রোজার ঈদের আগে ব্যাপারীরা সাড়ে তিন লাখ টাকা দাম বলেছিলেন। তিন মাস পর এখন সেই গরুর দাম উঠেছে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা। অথচ এই তিন মাসে গরুর ওজন বেড়েছে তিন মণের ওপরে।
ওজন বাড়ার পরও দাম এমন পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গরুটির মালিক আসাদুল ইসলাম। অথচ অনেক আশা নিয়ে সন্তানের মতো গরুটি লালন-পালন করেছেন তিনি।
তার আশা ছিল ঈদুল আজহায় পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস তার সেই আশা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। এখন তিনি তিন লাখ টাকা হলেই গরুটি বিক্রি করবেন।
ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার রাখালভোগা গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম বলেন, আমার এক আত্মীয় গরুর ব্যবসা করেন। গত বছর তারা চট্টগ্রামে গরু নিয়ে যান। আমার গরুর মতো গরু গত বছর গাড়ি থেকে নামাতে না নামাতেই সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়।
‘এবারও আমার ওই আত্মীয় চট্টগ্রামে গরু নিয়ে গেছেন। আমার গরুটি নিয়ে যেতে বলেছিলাম। তিনি জানান, এত বড় গরু নিয়ে যেতে ভয় করছে। আপনি সঙ্গে গেলে নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু আমি কখনও বাইরে গরু নিয়ে যাইনি। তাই তার প্রস্তাবে রাজি হইনি’ বলেন আসাদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ব্যাপারীরা রোজার ঈদের আগে এই গরুর দাম সাড়ে তিন লাখ টাকা বলেছিলেন। এখন দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা দাম উঠেছে। অথচ এই সময়ের মধ্যে গরুর ওজন তিন মণের মতো বেড়েছে। আবার এই তিন মাসে লালন-পালনেও মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে। এখন এই গরুর মাংস সাড়ে ১৬ মণের ওপর হবে।
আসাদুল ইসলাম বলেন, এখন সময় খারাপ। এ কারণে দাম পাচ্ছি না। তারপরও তিন লাখ টাকা পেলে গরুটি বিক্রি করে দেব। এর নিচে বিক্রি করা সম্ভব নয়। এবার যদি বিক্রি করতে না পারি, যত কষ্টই হোক আরও এক বছর গরুটি লালন-পালন করব। আগামী কোরবানির ঈদে ভালো দাম পাব বলে আশা করি।
এদিকে গরুটি দেখে মহেশপুর থানার ফতেপুর ইউনিয়নের গরুর ব্যবসায়ী রশিদ বলেন, গত বছর এ ধরনের গরু আমরাই পাঁচ লাখ টাকা করে কিনেছি। বাজারে নিয়ে গিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার বাজারের অবস্থা খারাপ। বড় গরুর চাহিদা নেই। তাই বড় গরু নিতে ভয় পাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed