মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাড়ে পাঁচ কোটি কেজি চা অবিক্রীত

বিবিএনিউজ.নেট   |   রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   455 বার পঠিত

সাড়ে পাঁচ কোটি কেজি চা অবিক্রীত

২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে চায়ের মোট জোগান (উৎপাদন ও মজুত মিলিয়ে) ছিল ১৩ কোটি ৭৩ লাখ কেজি। এর মধ্য থেকে আট লাখ ৭০ হাজার কেজি চা বিদেশে রফতানি হয় এবং দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা ছিল প্রায় সাত কোটি ৯৮ লাখ কেজি। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো এবং রফতানির পর দেশে পাঁচ কোটি ৬৯ লাখ কেজি চা অবিক্রীত অবস্থায় রয়ে গেছে। চা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন ঘেঁটে দেখা যায়, গত অর্থবছর চায়ের উৎপাদন ছিল ৯ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার কেজি; যা এর আগের অর্থবছরের (২০১৭-১৮) তুলনায় ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। এর আগের অর্থবছর শেষে চার কোটি ৬৩ লাখ কেজি চা অবিক্রীত ছিল।

প্রাপ্ত তথ্যে আরও দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরে আট লাখ ৭০ হাজার কেজি চা রফতানি থেকে দেশ আয় করেছে ৩৩ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলার। দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশ থেকে সাত লাখ ৮০ হাজার কেজি চা রফতানি হয়েছিল। এর বিপরীতে বাংলাদেশ আয় করেছিল ২২ লাখ ৯০ হাজার ডলার। দেশি মুদ্রায় ১৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সেই হিসেবে গত অর্থবছরে ৯০ হাজার কেজি চা বেশি রফতানি হয়েছে এবং এ খাত থেকে ১০ লাখ ৩০ হাজার ডলার বা ৯ কোটি ১২ লাখ টাকা বেশি আয় করেছে দেশ।

চা রফতানি কিছুটা বাড়লেও আলোচিত অর্থবছরে চায়ের দর কমেছে বলে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, গত অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) ‘সেরা’ মানের চায়ের গড় নিলাম মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ২১০-২২০ টাকা, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৪৬-২৫০ টাকা।

‘ভালো’ মানের চায়ের গড় নিলাম মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ১৯০-২০৫ টাকা, যা এর আগের অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে ছিল ২৪২-২৪৫ টাকা। এছাড়া মোটামুটি মানের চায়ের গড় নিলাম মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ১৭৫-১৯০ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৩২-২৪২ টাকা। সাধারণ মানের চায়ের গড় নিলাম মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ১৫০-১৬৫ টাকা, যা এর আগে ছিল ২০০-২১৫ টাকা। অবশ্য চায়ের গড় নিলাম মূল্য তুলনামূলক বেশি থাকে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে।

গত অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে চায়ের উৎপাদন দাঁড়ায় দুই কোটি ৫৪ লাখ কেজিতে, যা এর আগের ত্রৈমাসিক এবং গত অর্থবছরের একই ত্রৈমাসিকের তুলনায় কিছুটা বেশি। মৌসুমগত কারণেই এই উৎপাদন বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, গত এপ্রিল-জুন সময়ে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ডলারে এক লাখ ৬০ হাজার কেজি চা রফতানি হয়। এর আগের ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ১০ লাখ ৯০ হাজার ডলারে তিন লাখ কেজি চা বিদেশে রফতানি হয়েছিল। পরিমাণগত দিক দিয়ে আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় আলোচিত ত্রৈমাসিকে চা রফতানি প্রায় ৪৭ শতাংশ কমেছে এবং মূল্যগত দিক দিয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে চায়ের গড় রফতানি মূল্য ছিল কেজিপ্রতি তিন দশমিক ৪৮ ডলার বা ২৮৫ টাকা।

দেশভিত্তিক রফতানির তথ্যে আরও দেখা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের চায়ের কদর বাড়ছে। বিদায়ী অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন লাখ ৬১ হাজার কেজি চা রফতানি হয় (মোট চা রফতানির ৪৪ দশমিক ২৪ শতাংশ)। এর আগের অর্থবছরে এটা ছিল দুই লাখ ৯২ হাজার কেজি।

এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৩ হাজার কেজি চা রফতানি হয়েছিল; যা পরের অর্থবছরে বেড়ে হয় এক লাখ ৫৪ হাজার কেজি (মোটা চা রফতানির ২৬ শতাংশ)।
অন্যদিকে গত অর্থবছরে পাকিস্তানে চা রফতানি কমে এসেছে। গত অর্থবছর এই দেশটিতে ৭৭ হাজার কেজি চা রফতানি হয়, যা ওই অর্থবছরের মোট চা রফতানির প্রায় ২২ শতাংশ। তবে এর আগের অর্থবছর সবচেয়ে বেশি চার রফতানি হয়েছিল এই দেশটিতে। ওই অর্থবছরে পাকিস্তানে চার লাখ সাত হাজার কেজি চা রফতানি হয়।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, পরিমাণ ও দামের দিক দিয়ে বিদায়ী অর্থবছরে মোট চা রফতানির ৯০ শতাংশ গেছে এ তিনটি দেশে। এছাড়া প্রায় সাত শতাংশ চা রফতানি হয়েছে সৌদি আরব, কুয়েত, জাপান, চীন, বাহরাইন ও যুক্তরাজ্যে।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ২:৩২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11363 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।