৭ম রমজান

ইফতারের সময় বাকি আছে

00 ঘন্টা
00 মিনিট
00 সেকেন্ড

ইফতারের সময় হয়েছে।
ইফতার করুন।

শুধুমাত্র ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য

সেহরির সময় বাকি আছে

00 ঘন্টা
00 মিনিট
00 সেকেন্ড

শুধুমাত্র ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য

Advertisement
  • ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সে একাধিক আইন লঙ্ঘন

    সিইও নাকি ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পদবি নিয়ে দ্বিধায় জামিলুর রহমান

    এস জেড ইসলাম | ২৮ জানুয়ারি ২০২১ | ১২:২৯ অপরাহ্ণ

    সিইও নাকি ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পদবি নিয়ে দ্বিধায় জামিলুর রহমান
    apps

    শ্রম আইন লঙ্ঘন, বাকিতে ব্যবসা ও বীমা আইন ভঙ্গ করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদবি ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে। এ অনিয়ম নিয়ে এক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে জবাব চাইলেও তার জবাব দেয়া হয়নি কোম্পানির পক্ষ থেকে। অভিযোগকারী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    অভিযোগকারী বিনিয়োগকারী জানান, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স প্রায় তিনযুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছে। কিন্তু এ দীর্ঘসময়েও শ্রম আইন পালন করেনি প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে কোম্পানির মুনাফায় শ্রমিকের অংশগ্রহণমূলক (ডব্লিউপিপিএফ) ধারাটি ভঙ্গ হয়েছে। এখনো ভেঙে চলেছে সে আইন। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে কোম্পানির সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বার্থ।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    প্রতিষ্ঠানটির ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের পৃষ্ঠা নম্বর ২০২-এর দ্রষ্টব্য ২৬.০১ থেকে নিট প্রোফিট ১১ কোটি ৫২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শ্রম আইন অনুযায়ী মুনাফায় শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিলে নিট প্রোফিটের ৫ শতাংশ হারে ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৯ টাকা রাখার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সে নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রায় ২০ লাখ টাকা কম রেখেছে। বিনিয়োগকারীদের মতে, যদি আইন অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও ডব্লিউপিপিএফ রাখা হতো, তবে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হতো ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স।

    শ্রম আইনের ২৩৪ ধারায় উল্লেখ রয়েছে- ‘এই অধ্যায় (অর্থাৎ কোম্পানির মুনাফায় শ্রমিকের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত পঞ্চদশ অধ্যায়) প্রযোজ্য হইবার তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে এই অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক একটি শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও একটি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল স্থাপন করিবে।’ অপরদিকে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি এ আইন লঙ্ঘন করে তবে ধারা-২৯৮(১) অনুযায়ী তিনি তিন বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।


    এদিকে বীমা আইনে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে বাকি ব্যবসা না করতে সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকার পরও তা মানেনি প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে নগদ প্রবাহ তথ্য থেকে দেখা যায়, প্রিমিয়াম ও অন্যান্য আয়সহ মোট ৪৪ কোটি ৭৬ লাখ ১ হাজার ১২৫ টাকা সংগৃহীত হয়েছে। অথচ উক্ত সময়ে ব্যবসা বা গ্রোস প্রিমিয়াম দেখানো হয়েছে ৭০ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ৪০ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যবসার ২৫ কোটি ৬৩ লাখ ৬ হাজার ৯১৫ টাকা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বীমা বিশ্লেষকদের মতে এটা হলো বাকি ব্যবসা। প্রিমিয়ামের টাকা গ্রহণ না করেই যে ব্যবসার ঝুঁকি গ্রহণ করে বীমা কোম্পানি। ফলে ব্যবসা বেশি হলেও আয়-উপার্জনে তুলনামূলক পিছিয়ে রয়েছে। অনেক সময় ব্যবসা বেশি দেখে প্রভাবিত হয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে ধোঁকায় পড়ে।

    এ বিষয়ে বীমা আইনের ১৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে- ‘কোন বীমাকারী বাংলাদেশে নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা-সংμান্ত কোনো বীমা ঝুঁকি গ্রহণ করিবে না যদি না বীমাকারী প্রদেয় প্রিমিয়াম বা বিধি দ্বারা নির্ধারিতভাবে প্রদেয় প্রিমিয়ামের অংশবিশেষ পাইয়া থাকে কিংবা নির্ধারিত ঐরূপ পদ্ধতি বা সময়ের মধ্যে এরূপ ব্যক্তি দ্বারা প্রদেয় প্রিমিয়াম পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করা হইয়া থাকে।’ এদিকে আইন লঙ্ঘনে দায়ে ধারা ১০(১)(ছ) অনুযায়ী নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল এবং ধারা ১৩৪ অনুযায়ী আইন লঙ্ঘনে সাথে জড়িত ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা করবে।
    আইনের এমন ব্যত্যয়ের পর কোম্পানির সিইও জামিলুর রহমানের বিরুদ্ধেও আইডিআরএ’র নির্দেশনা ও বীমা করপোরেশন আইন-২০১৯ ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার বদলে তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদবি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রতিবেদন ও ওয়েবসাইটেও এই প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। আইন ভঙ্গের এ প্রবণতায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীরা। যে কোনো মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানটির উপর নেমে আসতে পারে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের শাস্তির খড়গ। আর এ শাস্তি থেকে রেহাই পেতে যে অর্থ প্রদান করা হবে তা মূলত গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের আমানত। তাই প্রতিষ্ঠানটিতে অবিলম্বে আইন পরিপালন নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে কাজ করা উচিত বলে মনে করছেন তারা।

    এ বিষয়ে সিইও জামিলুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার কার্যালয়ে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মো. রফিকুর রহমানের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। অনিয়মের বিষয়গুলো স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘যেগুলো হয়েছে তা অনাকাক্সিক্ষত ভুল। ভবিষ্যতে আমরা সচেতন থাকবো এগুলো যেন পুনরায় না ঘটে।’

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১২:২৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    Archive Calendar

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি