
বিবিএনিউজ.নেট | মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 415 বার পঠিত
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান পুলিশ ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যেগে প্রতিষ্ঠিত ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল বন্দর নগরীর পতেঙ্গায় যাত্রা শুরু করছে আগামীকাল বুধবার ।
এ উপলক্ষে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা চারটি ওয়ার্ড নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় বেড স্থাপন, চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়, পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
৫০ শয্যা দিয়ে শুরু হলেও এটি অতি দ্রুত ১০০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হবে। আপাতত আগামী তিন মাসের প্রস্তুতি নিয়ে চালু হচ্ছে হাসপাতালটি। এটি চালুর জন্য ব্যক্তি পর্যায়ের সহযোগিতা ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মানবতার সেবায় কাজ করে আসছে। তবে করোনাভাইরাসের মহামারী আঘাত হানার পর সংগঠনটি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান পুলিশের সাথে “সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল’’টি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়।
হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য একটি কনভেনশন সেন্টারকে বেছে নেয়া হয়। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও সিএমপি কর্মকর্তারা জানান বুধবার থেকে হাসপাতালটি পুরোদমে কাজ শুরু করবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একটি দল ভিডিও কনফারেন্সিংসহ নানাভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন। পাশাপাশি সারাদেশ থেকে আগত বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী হাসপাতালটিতে সেবা দান করবেন।
হাসপাতালটি উদ্বোধন উপলক্ষে সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান বলেন, “করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রথম থেকেই বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অবদান রেখে যাচ্ছেন। অপরদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বমহামারীর প্রথম থেকেই জনগণের পাশে থেকে মানবিক কাজ করছে। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসাসেবা আরও বেগবান করার জন্য এ উদ্যোগ, যা নিঃসন্দেহে জনগণকে চিকিৎসা সেবা প্রদানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে শুধু চিকিৎসা সেবাই দিবে না বরং আরো মানবিক হতে উদ্বুদ্ধ করবে।”
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাশ বলেন, “কিছুদিন আগে এক ছবিতে হাসপাতালের বেডের জন্য ঘুরতে ঘুরতে এক রোগীকে রাস্তায় মরতে দেখে খুব হতাশ হই। তখনই মনে হলো যাদের সুযোগ আছে তাদেরই এগিয়ে আসা উচিত। তাই একটা ভালো উদাহরণ তৈরি করতে চাইলাম।”
তিনি আরও বলেন: “অনেক মৃত্যু হচ্ছে, আবার ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারলে অনেকেই বেঁচে যাবেন। মানুষকে অন্তত সম্মানজনক মৃত্যু কি আমরা উপহার দিতে পারি না? যাওয়ার সময় সামান্য যত্ন কিংবা অন্তত চোখের জল কি মানুষ পেতে পারে না? সেদিনই সিদ্ধান্ত নেই দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু একটা করার। আজ সেটি বাস্তব হতে চলেছে।”
Posted ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed