বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি নয় ক্ষুদ্রঋণের গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০   |   প্রিন্ট   |   349 বার পঠিত

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি নয় ক্ষুদ্রঋণের গ্রাহকরা

আরও তিন মাস ঋণ পরিশোধ না করলেও খেলাপি হবেন না ক্ষুদ্রঋণ খাতের গ্রাহকরা। এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) এক সার্কুলারে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রাহকদের কোনো ঋণকে খেলাপি না দেখাতে নির্দেশ দিয়েছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ক্ষুদ্রঋণের গ্রাহকদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডও ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় এমআরএ এর আগে গ্রাহকদের ঋণমান ৩০ জুন পর্যন্ত ১ জানুয়ারির তুলনায় বিরূপমানে শ্রেণিকরণ না করতে নির্দেশনা দেয়।

মহামারির প্রকোপ বাড়তে থাকায় ও এর প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ায় অর্থনীতির অধিকাংশ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাত স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারছে না। এ কারণে ৩০ জুন পর্যন্ত গ্রাহকের ঋণমান যে অবস্থায় রাখার নির্দেশনা ছিল, তা বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছে এমআরএ। অর্থাৎ গ্রাহকদের ঋণমান ১ জানুয়ারিতে যা ছিল, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার থেকে নিম্নমানে পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণি মানের উন্নতি হলে তা করতে হবে।

এমআরএর সর্বশেষ সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কোনো ঋণগ্রহিতা আর্থিক অক্ষমতার কারণে কিস্তি দিতে না পারলেও আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে খেলাপি দেখানো যাবে না। অথবা ওই ঋণকে বকেয়া ঋণ হিসেবেও উল্লেখ করা যাবে না। অর্থাৎ এই সংকটময় সময়ে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণগ্রহিতাদের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করতে পারবে না। তবে কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সেক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না।

এ ছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য নতুন ঋণ বিতরণ, গ্রাহকদের সঞ্চয় ফেরত দেওয়া, জরুরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, রেমিট্যান্স সেবা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ওই সার্কুলারে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এমআরএ থেকে লাইসেন্স নিয়ে দেশে ৭৫৮ প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করছে। এগুলোর গ্রাহক প্রায় আড়াই কোটি। প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে। মাঠ পর্যায়ে ঋণ থাকে ৯০ হাজার কোটি টাকার মতো। প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহকদের সঞ্চয়ের পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। ছোট ছোট ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তি এ ঋণের গ্রাহক। করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্টি হওয়া পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্রঋণের গ্রাহকদের ব্যবসা ও আয় কমেছে। ফলে তাদের ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতাও কমেছে।

Facebook Comments Box
top-1

Posted ১২:১১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11569 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।