বিবিএনিউজ.নেট | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৪:৪৬ অপরাহ্ণ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ, বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবে থাকা দাবিহীন টাকা দিয়ে তৈরি হচ্ছে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড। গত ২২ ফেব্রæয়ারি ফান্ডের গঠনের খসড়া প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। জনমত যাচাইয়ের পর এটি চ‚ড়ান্ত করবে কমিশন। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে এই ফান্ড গঠন করা সম্ভব বলে মনে করছে কমিশন। সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই খবর জানা যায়। কথা হচ্ছে, এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমে ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে অবন্টিত লভ্যাংশের তথ্য চেয়ে একটি চিঠি ইস্যু করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। সেখানে প্রতিষ্ঠান তিনটিকে পরবর্তী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য চেয়ে কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিতে বলা হয়। পরবর্তীতে ডিএসই কোম্পানিগুলোকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) কাছে তথ্য চাওয়া হয়।
জানা যায়, প্রাথমিকভাবে ফান্ডের আকার হবে ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানিতে নগদ টাকা রয়েছে প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বাকিগুলো রাইট বা বোনাস শেয়ারে রয়েছে। তবে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে দাবিহীন টাকার পরিমাণের তথ্য বিএসইসির কাছে আসেনি। সব মিলিয়ে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ফান্ড গঠন করে পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দেওয়ার আশা করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিএসইসি অবন্টিত লভ্যাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে, নিশ্চয়ই এটি অনেক ভালো খবর। তবে এই টাকা সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারলে পুঁজিবাজারের জন্য অনেক ভালো কিছু হবে। কোনো কারণে সঠিকভাবে বিনিয়োগ না হলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি।
এসব ফান্ড বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে পড়ে আছে। এগুলোকে একত্র করে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য কাজে লাগাতে পারাটা সত্যিকার অর্থে একটি সময় উপযোগী পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ সময়: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | Sajeed