| বৃহস্পতিবার, ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 908 বার পঠিত
বাংলাদেশে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ৩১ হাজর ৫২৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। তবে এর আগের মাসে (অক্টবর) এই লেনদেনের অংকটা ছিল কিছুটা বড়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী আগের মাসের তুলনায় নভেম্বরে এসে মোবাইলভিত্তিক লেনদেন কমেছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে চলতি অর্থবছরের নভেম্বর মাসে ৩২ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের মাসের তুলনায় ৯৪৭ কোটি টাকা কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ (নভেম্বর) হিসাব অনুযায়ী, দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৭০ লাখ ৬১ হাজার। যা আগের মাসে (অক্টবর) ছিল ৬ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার। তবে নিবন্ধিত গ্রাহকদের মধ্যে অনেক হিসাবই সক্রিয় নেই। সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৭৩ হাজার। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার কোটি ৫০ লাখ ৯১ হাজার টাকা লেনদেন করেছেন গ্রাহকরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৭ জনে।
বর্তমানে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) সেবা দিয়ে আসছে ১৮টি ব্যাংক। সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরের বছর পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয়।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যেসব কাজ করা যায় সেগুলো হলো, রেমিট্যান্স পাঠানো, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, একজনের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্যজনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, ইউটিলিটি বিল দেওয়া, মোবাইল ফোনের এয়ার টাইম কেনা, পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট পেমেন্ট, সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেতন দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা, বিমা প্রিমিয়াম, ডিপিএস দেওয়া ইত্যাদি।
Posted ৪:৫৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ জানুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed