নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 959 বার পঠিত
হাওরকেন্দ্রিক ইকো-ট্যুরিজম, মাছ, ধান, রফতানিযোগ্য শামুক, ঝিনুক চাষসহ সমন্বিত উদ্যোগ বদলে দিতে পারে দেশের অর্থনীতির রূপ। সেইসঙ্গে হাওরে পরিবেশসম্মত অর্থনৈতিক কর্মসূচি বদলে দেবে দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘হাওর অর্থনীতি: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরের বন্ধু। একনেকের সভায় হাওরের প্রকল্প সম্পর্কে খোঁজ নেন তিনি। হাওর জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুপেয় খাবার পানি। স্যানিটেশন ব্যবস্থারও উন্নতি করতে হবে।
এমএ মান্নান বলেন, হাওরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু করেছি। সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সংযোগ করতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। ছাতক থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত রেল সংযোগ করতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, হাওরের প্রাকৃতিক রূপ অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষার হারও বেড়েছে। ফলে কৃষি কর্মকাণ্ড কমেছে। জমি পরিত্যক্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ পেতে হলে কৃষি যান্ত্রিকিকরণের বিকল্প নেই।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, হাওরের বাঁধের স্থায়ী সমাধান করতে হবে। প্রতিবছর শত শত কোটি টাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এটা নতুন করে ভাবতে হবে। হাওরের বিপুল পরিমাণ সম্পদ কাজে লাগাতে না পারা রাষ্ট্রীয় দুর্বলতা। উন্নয়নের নামে হাওরে পানির প্রবাহ বন্ধ করে রাস্তা তৈরি করা আত্মহত্যার শামিল। মাছ ও ধান চাষের বাইরে প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন সমিতিটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মুয়াজ্জাম হুসাইন।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক ড. এমএ সাত্তার ও অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত প্রমুখ।
Posted ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed