মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

হাওর এলাকায় মাটি ভরাট করে আর কোনো রাস্তা হবে না : শেখ হাসিনা

  |   শনিবার, ১১ মে ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   59 বার পঠিত

হাওর এলাকায় মাটি ভরাট করে আর কোনো রাস্তা হবে না : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হাওর এলাকায় মাটি ভরাট করে আর কোনো রাস্তা হবে না। নিদের্শ দিয়েছি, যেন পানির স্রোত অব্যাহত থাকে। বন্যার সময় অনেক রাস্তা ভেঙে যায়। যেখানে ভেঙে যাবে সেখানে মাটি ভরাট করতে দিই না। সেখানে ব্রিজ বা কালভার্ট করে দিয়েছি। কারণ আবার যদি বন্যা হয়, তাহলে আবারও ভাঙবে, সেই বিষয়গুলো মাথা রেখে পরিকল্পনা করতে হবে।

শনিবার (১১ মে) সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবির) এর ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রাস্তা বানাতে কম খরচ, বাংলাদেশ বেশি খরচ হয় কেন? যারা বলেন, আমার মনে হয় তাদের বাংলাদেশের মাটি সম্পর্কে ধারণা নেই। কারণ, আমাদের মাটি হলো নরম মাটি। যেটাকে বলে দোআঁশ মাটি। টেকসই কিছু করতে গেলে আগে আমাদের মাটিটা তৈরি করতে হয়। মাটিকে যথাযথভাবে তৈরি করতে পারলে তাহলে সেটা টেকসই হয়।

জলাধার যাতে নষ্ট না হয় সেভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি দেখেছি একটা সুন্দর বড় পুকুর, তার ভেতরে বিল্ডিং বানানোর প্ল্যান নিয়ে আপনারা হাজির হন। আমি আসার পর যে কয়টা এসেছে, আমি বাতিল করে দিয়েছি। আমি আসার আগেই এই ঢাকা শহরে অনেক পুকুর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ওই এলাকার যত পানি সেটা যাবে কোথায়?

তিনি আরও বলেন, পান্থপথ ছিল একটা বিল। পুরো বর্ষাকালে সেখানে পানি জমত। ওখানে একটা খাল ছিল। বক্স কালভার্ট করার কারণে বৃষ্টির পানি জমে যায়। সেই পানি নিষ্কাশনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিতে হলো। আমাদের দেশের জন্য এটা (বক্স কালভার্ট) প্রযোজ্য নয়। আমি মনে করি আমাদের উন্মুক্ত খাল থাকবে। দরকার হলে আমরা সেখানে এলিভেটেড রাস্তা করব। নিচে খাল, উপরে রাস্তা।

দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আপনারা নিজেরাই জানেন ৯৬ সালে দেশের কী অবস্থা ছিল। বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। মাত্র ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়া যেত। ৪৬০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করে যাই। তারপর দ্বিতীয়বার যখন ক্ষমতা আসি তখন কী ছিল? সেই ৪৬০০ থেকে কমে গিয়েছিল। সেই থেকে যাত্রা শুরু করে আজকে আমরা ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সাল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে কতটুকু উৎপাদন করব। ৪১ সালের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন আমরা বহুমুখী করছি। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রকৌশলীদের গবেষণা দরকার।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষের উন্নত জীবনমানের কথা মাথায় রেখেই কাজ করছে সরকার। কিন্তু একটি গোষ্ঠী আছে তাদের কিছুই ভালো লাগে না। পদ্মা সেতুতে রেল, মেট্রোরেল, স্যাটেলাইট, পারমাণবিক বিদ্যুৎ এসব নিয়ে সমালোচনা করছে তারা।

প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, কীভাবে জ্বালানি উদ্ভাবন করতে পারি, কীভাবে আমরা স্বল্প খরচে উন্নয়নের কাজটা সচল রাখতে পারি, যোগাযোগ ব্যবস্থার কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি, সেটা চিন্তা করেই প্রকল্প নিতে হতে। আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, তৃণমূল থেকেই উন্নয়নটা করা। তৃণমূল থেকে মানুষের মাথাপিছু আয়টা বৃদ্ধি করা। তৃণমূল থেকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, আমাদের নিজস্ব বিশাল বাজার, সেই বাজার আমাদের সৃষ্টি করতে হবে এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। এরইমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে করা হয়েছে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশে করা হবে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু। এবারের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ কনভেনশনের মূল আকর্ষণ ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফরমিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার। দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশন এটি।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:৪২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ মে ২০২৪

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।