নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ জানুয়ারি ২০২৩ | ৯:০৬ অপরাহ্ণ
২০২৩ সাল থেকে ২৭ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় সীমার মধ্যে আনতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে জীবন বীমা কর্পোরেশন। ব্যাংক বীমা অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় নিয়ে যৌক্তিক প্রতিবেদন তলব করে দুদকের দেয়া চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম ব্যাংক বীমা অর্থনীতিকে বলেন, “২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর সমস্ত তথ্য প্রমাণসহ দুদককে দেয়া এক চিঠিতে কর্পোরেশন জানায়, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অবৈধ ব্যয় দেখিয়ে কোন অর্থ আত্মসাৎ করা হয়নি। সমস্ত খরচ নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই হয়েছে। ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘(১) ১৯৩৮ সালের বীমা আইন (পরবর্তীতে সংশোধিত) মোতাবেক মোট প্রিমিয়াম আয়ের যে পরিমাণ প্রশাসনিক ব্যয় খাতে খরচ করা যাবে মর্মে উল্লেখ হয়েছে বাস্তবে তা দিয়ে ব্যয় সংকুলান সম্ভব হয় না। (২) বীমা আইন প্রণয়নের সময় আইসিটি, অন-লাইন, ভ্যাট, ট্যাক্স ইত্যাদির উল্লেখ ছিলনা । বর্তমানে এ সমস্ত খাতে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। (৩) সময়ের সাথে পেনশন হোল্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। (৮) কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি জাতীয় পে-স্কেলের সাথে জড়িত বিধায় ব্যবসায় আশানুরূপ আয় বৃদ্ধি না হলেও সরকারি নির্দেশনা মেতাবেক সরকারি পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হয়েছে। ফলে ব্যাপক অর্থের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে ক্রমান্বয়ে এর সমাধান হয়ে আসছে। (৫) বীমা আইনে যে ব্যয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা দিয়ে শুধুমাত্র উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার ব্যয় সংকুলান করা যায়। অন্যান্য সকল ব্যয় নির্বাহ করা যায় না।”
দুদকের তাগিদের প্রেক্ষিতে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর আইডিআরএকে দেয়া আরেক চিঠিতে পুনর্ভরণের মাধ্যমে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় শূন্যের কোঠায় আনতে পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের কথা জানায় কর্পোরেশন। এতে বলা হয়, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় শূন্যের কোটায় আনতে ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার ও ডেভলপমেন্ট অফিসার সার্ভিস রুলস ১৯৭৮ সংশোধনের মাধ্যমে বীমা আইন ২০১০, বীমা কর্পোরেশন আইন ২০১৯ এবং আইডিআরএ কর্তৃক জারিকৃত সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুসরণে বার্ষিক প্রিমিয়াম আয়ের কোটা বৃদ্ধি এবং ব্যয় হ্রাসকরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জীবন বীমা কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রবিধানমালা-১৯৯২ অনুযায়ী শূন্য পদে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক নির্দেশক বিশ্লেষণ পূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
জীবন বীমা কর্পোরেশনের প্রোডাক্টসমূহ বিচার বিশ্লেষণ করে বিপণন করতে হবে। প্রয়োজনে অলাভজনক প্রোডাক্ট রি-ডিজাইন করা হবে অথবা বিপণন বন্ধ করা হবে। যুগোপযোগী নতুন প্রোডাক্ট তৈরি এবং বিপণন করা হবে। মাঠ পর্যায়ের অফিসসমূহের আয়-ব্যয় পর্যালোচনা করে ব্যয় সীমার মধ্যে রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মাঠ পর্যায় থেকে প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত সর্বস্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও এজেন্টদেরকে প্রদত্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ভবিষ্যতে অব্যহত রাখা হবে।
অফিসভিত্তিক ব্যয় বৃদ্ধির চেয়ে প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রণোদনা পুরস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ। পুরস্কার প্রদানে কর্পোরেশনের পরিচালনা বোর্ডের অনুমোদনক্রমে উন্নয়ন ডিভিশন কর্তৃক নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যকর করা। ডিজিটাল মাধ্যমে বীমা সেবা সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:০৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy