সোমবার ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সিমেন্সের সঙ্গে চুক্তি

ডেস্ক রিপোর্ট   |   শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   776 বার পঠিত

বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সিমেন্সের সঙ্গে চুক্তি

পটুয়াখালীর পায়রায় ৩৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এলএনজিভিত্তিক একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে জার্মানির সিমেন্স এজির সঙ্গে ইনিশিয়াল চুক্তি করেছে নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি।

শুক্রবার জার্মানির মিউনিখে হোটেল শেরাটনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ চুক্তি সই করা হয় বলে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি সফরে রয়েছেন। মিউনিখে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল হোটেল শেরাটনে সিমেন্স এজির প্রেসিডেন্ট ও সিইও জোয়ে কাইজার সাক্ষাৎ করতে এলে এ চুক্তি হয়।

আমদানি করা এলএনজিনির্ভর এই প্রকল্পই হবে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০১৭ সালে নভেম্বরে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে জার্মানির সিমেন্স এজির সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি।

২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের এ প্রকল্পের ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন আসবে ঋণ থেকে। বাকি ৪০০ মিলিয়ন ডলার থাকবে ইক্যুইটি হিসেবে।

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণে, যে সাফল্য উদযাপনে রাজধানীর হাতিরঝিলে আলোক উৎসব করা হয়েছে।

চুক্তি সাক্ষরের পর বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ এবং গ্যাস আমদানির বিষয়ে ইনিশিয়াল চুক্তিটি হয়েছে।

৩৬০০ মেগাওয়াটের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১২০০ মেগাওয়াটের মোট তিনটি ইউনিট থাকবে। আমদানি করা এলএনজি এ কেন্দ্রে কীভাবে আনা হবে, তা নিয়ে সমীক্ষা চলছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

সিমেন্স দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে ভৌত অবকাঠামোসহ স্বাস্থ্য, শিল্পখাতে কাজ করে আসছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে পায়রা ও এর আশপাশে ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।সেখানে একটি বন্দরও করা হয়েছে, যেটাকে গভীর সমুদ্র বন্দর করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এছাড়া পায়রার আশেপাশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলারও কাজ শুরু হয়েছে।

সিমেন্সের প্রধান নির্বাহীর পর জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচের প্রধান নির্বাহী হ্যান্স উল্ফগাং কুনজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট তৈরির কাজ করা ভেরিডোসের প্রধান নির্বাহীর বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “উনারা এখন যেভাবে আগাচ্ছেন তাতে আশা করা যায় ২০১৯ সালের জুন মাসে উনারা প্রথম পাসপোর্ট হ্যান্ডওভার করবেন।

“এই পাসপোর্ট প্রযুক্তিগতভাবে এত অগ্রগামী হবে যে, শুধু দুটো দেশে এই পাসপোর্ট থাকবে, জার্মানি ও বাংলাদেশে।”

এছাড়াও ভেরিডোস বাংলাদেশের ডেটা নিরাপত্তা এবং অন্যান্য খাতে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার জার্মান সফরের সময় বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেরিডোস জেএমবিএইচের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সিমেন্স ও ভেরিডোসের প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানানোর সময় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমও উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:৫৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।