• বৈঠকে বিএসইসি

    ৫০ কোটি টাকার নিচে আইপিও নয়

    বিবিএনিউজ.নেট | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ | ১:৪৩ অপরাহ্ণ

    ৫০ কোটি টাকার নিচে আইপিও নয়
    apps

    পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে সোমবার সন্ধ্যায় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

    বৈঠকে, আইপিও’র মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন লাগবে না। শুধুমাত্র প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন লাগবে বলে জানানো হয়েছে। আর যেসব কোম্পানি ফিক্সড প্রাইসের আইপিও আনতে চাইবে তাদের ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা মার্কেট থেকে উত্তোলন করতে হবে। এছাড়া বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ন্যূনতম ১০০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলন করতে হবে- বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে গতি আনতে বিএসইসি বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলোচনা করেছে। বাজারের গতি ফেরাতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী’র সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাজার উন্নয়নে সবকিছু-ই করা হবে বলে কমিশনকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর প্রতিটি সংস্থাই বাজার উন্নয়নে একযোগে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, প্লেসমেন্ট আইন বাতিল করা হবে। আগামিতে বিএসইসির অনুমোদন নিয়ে প্লেসমেন্টে কোন শেয়ার ইস্যু করার সুযোগ থাকবে না। একইসঙ্গে আইপিওকালীন সকল শেয়ারে ৩ বছর লক-ইন থাকবে। যা প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করন প্রকাশের দিনের পরিবর্তে লেনদেন শুরুর দিন থেকে গণনা করা হবে। পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নিয়ে যে সমস্যা আছে, তা গণভবনে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সমাধান করবেন বলে গভর্ণর জানিয়েছেন।


    সভায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। এক্ষেত্রে ফিক্সড প্রাইস মেথডে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ এবং বুক বিল্ডিং মেথডে ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হবে। এছাড়া শেয়ারবাজারে সক্রিয় নয় এমন ডিলার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মার্চেন্ট ব্যাংকস ইত্যাদিকে যোগ্য বিনিয়োগকারীর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

    এদিকে বাজেটে লভ্যাংশের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর প্রত্যাহার, স্ট্যাম্প ডিউটি কমানোসহ কিছু প্রণোদনা থাকবে বলেও জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান।

    আইপিওতে আসতে হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সব পরিচালকের ন্যুনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। আর সম্মিলিতভাবে থাকতে হবে ৩০ শতাংশ শেয়ার। বর্তমানে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানিতে পরিচালকদের ন্যুনতম ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে উদ্যোক্তাদের ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই, তাদের জন্য আলাদা একটি ক্যাটাগরি চালু করবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।

    প্লেসমেন্ট তথা আইপি ‘র আগে মূলধন বাড়ানোর লক্ষ্যে শেয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে অরাজকতা ও অবৈধ বাণিজ্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১:৪৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    Archive Calendar

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫১৬
    ১৭১৮১৯২০২১২২২৩
    ২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি