| ০৪ নভেম্বর ২০২১ | ৬:১৭ অপরাহ্ণ
অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান, যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হবে তার মধ্যে পরিশোধিত সাড়ে ৫৮ লাখ টন। বাকি ১৬ লাখ টন অপরিশোধিত।
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির মধ্যে ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০২২ সালের মধ্যে এই পরিমাণ তেল কেনা হবে।
অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়া হয়। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সৌদি আরব এবং আবুধাবি থেকে এ তেল আনা হবে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান, যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হবে তার মধ্যে পরিশোধিত সাড়ে ৫৮ লাখ টন। বাকি ১৬ লাখ টন অপরিশোধিত।
২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বা বিপিসির মাধ্যমে ধাপে ধাপে এ তেল কেনা হবে। এজন্য কত টাকা খরচ হবে তা বলা হয়নি।
বৈঠকের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘এটি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।’
বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। বর্তমানে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ৮৫ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এতে করে বিপিসির তেল আমদানিতে লোকসান বেড়ে গেছে। দেশের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে বিপিসি।
করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামেও।
বাংলাদেশ সময়: ৬:১৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy