• ৮ ট্রেকের নিবন্ধন সনদ বাতিলের হুঁশিয়ারি

    | ১৮ নভেম্বর ২০২১ | ৫:২০ অপরাহ্ণ

    ৮ ট্রেকের নিবন্ধন সনদ বাতিলের হুঁশিয়ারি
    apps

    স্টক ব্রোকার ও ডিলারের ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন সনদ ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নিট অর্থ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় নিবন্ধন সনদ নবায়নের অপেক্ষায় থাকা আটটি ট্রেক বা ব্রোকারেজ হাউজকে আগামী বছরের মধ্যে নিট অর্থের ঘাটতি পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ওই ঘাটতি পূরণে ব্যর্থ হলে তাদের সনদ বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি। সম্প্রতি এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

    ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন সনদ নবায়নের অপেক্ষায় ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো-ওয়াই ফাং সিকিউরিটিজ, পার্টনারস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, আসিফ আহমেদ অ্যান্ড কোং, রিভারস্টোন ক্যাপিটাল, এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ম্যানেজমেন্ট, সোহেল সিকিউরিটিজ, প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজ ও এইচএএল ক্যাপিটাল রয়েছে।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    বিএসইসি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে স্টক ব্রোকার ও ডিলারের ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন সনদ ইস্যু এবং নবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ সার্বক্ষণিক নিট ওর্থ রাখতে হবে। ফলে, স্টক ব্রোকার ও ডিলারের পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ঘাটতি বা লোকসান থাকতে পারবে। এর বেশি হলে সেই ব্রোকার ও ডিলারের সনদ বাতিল করা হবে। এদিকে স্টক ব্রোকার ও ডিলার ব্যতীত অন্যান্য ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়টি স্ব স্ব আইনে বা বিধিমালায় উল্লেখিত শর্ত অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। এ সংক্রান্ত আইন বা বিধিমালা সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এক্ষেত্রে যেসব ব্রোকার ও ডিলারের আইন অনুযায়ী ন্যূনতম বিনিয়োগে ঘাটতি রয়েছে, তাদের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে শর্ত সাপেক্ষে ২০২২ সালের তাদের জন্য প্রযোজ্য তারিখ পর্যন্ত নিবন্ধন সনদ নবায়ন করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নথি বিএসইসি’র নিবন্ধন বিভাগের কমিশনার মো. আবদুল হালিমের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে উপস্থাপন করবে। শর্তগুলো হলো-প্রযোজ্য নবায়ন ফি দিতে হবে ও নবায়নকৃত সনদে উল্লেখিত মেয়াদকালের মধ্যে ন্যূনতম বিনিয়োগ শর্ত পূরণ করতে হবে। অন্যথায় নিবন্ধন সনদ বাতিল বলে গণ্য হবে।


    এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আগের নির্দেশনা অনুযায়ী স্টক ব্রোকার ও ডিলারের ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারী সনদ, নিবন্ধন সনদ ইস্যু এবং নবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৬০ শতাংশ সার্বক্ষণিক নিট ওর্থ থাকার বিষয়ে বলা ছিল। সেক্ষেত্রে একটি ব্রোকার ও ডিলার সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ঘাটতিতে বা লোকসানে থাকতে পারতো। কিন্তু বর্তমানে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সেটা ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে একটি ব্রোকার ও ডিলারের পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নিট ওর্থ থাকতে হবে।’

    ব্রোকার ও ডিলারের ৭৫ শতাংশ নিট ওর্থের ঘাটতি সমন্বয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগে যাদের ৬০ শতাংশ নিট ওর্থ ছিল তাদেরকে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ পূরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে ঘাটতি বা লোকসান ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।’

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ৫:২০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    Archive Calendar

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি