বিবিএনিউজ.নেট | সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 363 বার পঠিত
খেলাপি ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি ছয়টি ব্যাংক। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের অবস্থা একেবারে নাজুক। ইতোমধ্যে বিতরণ করা ঋণের অর্ধেক খেলাপি হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ব্যাংকটির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের অবস্থা আরো খারাপ। ব্যাংকটির প্রায় ৭৯ শতাংশ ঋণ এরই মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে। সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের পরিণতিও একই। ব্যাংকটির খেলাপি ৬০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বিডিবিএল ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের ২৫ থেকে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
আর্থিক খাতের কয়েকটি ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে গর্তে পড়ে আছে। বিশেষ করে বেসিক ব্যাংকে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু চেয়ারম্যান থাকার সময় এ লুটপাট সংঘটিত হয়। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত কারো বিচার হয়নি। আমাদের মতে, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হোক। তাহলে অন্যদের জন্য এটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এসব ব্যাংকের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এটা লালন করলে বোঝা আরো বাড়বে। সম্ভব হলে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভ‚ত বা মার্জার করে দেওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে খেলাপিকে কেন্দ্র করে যারা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে অন্যরাও অপরাধ করতে উৎসাহিত হবে।
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং পর্ষদ যারা ব্যাংকের আজকের এই পরিণতির জন্য দায়ী, তাদেরকে কোনো ধরনের দায়িত্ব দেওয়া কাম্য নয়। তাদের কারণে ব্যাংকগুলো আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, বরং বছরের পর বছর খেলাপি ঋণ বাড়ছে বা উচ্চ খেলাপির ওপর স্থির রয়েছে। সব পক্ষের সদিচ্ছা থাকলে আজো ব্যাংকগুলো ভালো করা সম্ভব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সাল শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের ঋণস্থিতি ১৪ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে ৭ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৫১ দশমিক ১৩ শতাংশ। এর মধ্যে আবার আদায় অনিশ্চিত খেলাপির অঙ্ক ৭ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ৪৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এখনই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
Posted ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | Sajeed