শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিআইসিএমের অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান

‘আমাদের ব্যবহারের কারণে অনেক বিনিয়োগ হারিয়েছি’

  |   মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট ২০২০   |   প্রিন্ট   |   308 বার পঠিত

‘আমাদের ব্যবহারের কারণে অনেক বিনিয়োগ হারিয়েছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আমাদের ব্যবহারের কারণে অনেক বিদেশি বিনিয়োগ হারিয়েছি। ২০১৩-২০১৪ সালের দিকে আমাদের দেশে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, তখন প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগকারী তাদের অর্থ নিয়ে চলে গেছে। বিদেশিরা আমাদের আচরণ, ব্যবহার পছন্দ করেনি। ফলে আমরা অনেক বিনিয়োগ হারিয়েছি। ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি পেশাগত জীবনেও শিষ্টাচার মেনে চলা জরুরি। মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিষ্টাচার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিষ্টাচারের মাধ্যমে মানুষের ভদ্রতা, সৌজন্যতা এবং ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার ও উদ্ভাবন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, শুদ্ধাচার অনেক বৃহৎ একটি বিষয়। এরমধ্যে অনেক কিছু থাকতে পারে। আজকে শুদ্ধাচার পুরষ্কার দেওয়ার জন্য আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। শুদ্ধাচার শব্দের ব্যাপকতা অনেক। তিনি বলেন, ব্রিটিশরা আমাদেরকে ছোট ছোট ভাষায় আচার ব্যবহার শিক্ষা দিয়ে গেছে। কীভাবে ভদ্রতা রক্ষা করে আচার ব্যবহার করতে হয় তাও ব্রিটিশরা আমাদের শিখিয়েছে। আমাদের ধর্ম, কোরআন-হাদিসও সুন্দরভাবে শুদ্ধাচারের শিক্ষা দিয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম, রাজনীতি, সমাজ , রাষ্ট্র সব কিছুতেই আচার ব্যবহারের একটা প্রভাব রয়েছে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আচার আচরণ হতে হবে অনেক শালীন। শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বেকারদের জন্য কর্ম সংস্থানের প্রচুর সুয়োগ তৈরি হচ্ছে। এ সব কিছু তখনই সম্ভব হবে; যখন আমাদের মধ্যে আচার-আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মাহমুদা আক্তার বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার ভালো একটা পুঁজিবাজার। কয়েক মাস আগেও পুঁজিবাজারের অবস্থা খুব খারাপ ছিলো। বর্তমানে বাজারের অবস্থা দেখে আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের যে পরিবর্তন এখন দেখা যাচ্ছে তার পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের। পুঁজিবাজারের দুর্বল জায়গাগুলোকে সঠিক করার জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তার ইফেক্ট আমরা দেখতে পারছি।

বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট বলেন, ভালো পুঁজিবাজারের জন্য দরকার শিক্ষিত বিনিয়োগকারী। সরকার যখন এই বিষয়টা উপলদ্ধি করেছে তখন সুশিক্ষিত বিনিয়োগকারী তৈরির জন্য বিআইসিএম প্রতিষ্ঠা করেছে। যে লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি করা হয়েছে আমরা এখনো সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। এর পিছনে রয়েছে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা। সেসব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আর কাঙ্ক্ষিত সেই জায়গায় যেতে শুদ্ধাচার এবং উদ্ভাবন খুব জরুরি।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১২:১৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।