নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট | 197 বার পঠিত
বেক্সিমকোর সুকুকে দ্বিতীয় দফায় বর্ধিত সময়ে আরও ১ জন ৫ লাখ টাকার আবেদন করেছে। সুকুক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে পাবলিক অফারে অর্থ উত্তোলনে ৫ কার্যদিবসের প্রথম দফায় ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) সাবস্ক্রিপশনের সময় ১০ কার্যদিবস বাঁড়ায়। কিন্তু এরপরে বন্ডটিতে মাত্র ১জন আবেদন করে। এরপরে দ্বিতীয় দফায় ২৪ দিন সময় বাড়িয়েছে, যার ২৩তম দিনে এসে আরও ১ জন আবেদন করেছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বেক্সিমকোর ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ডের মধ্যে পাবলিক অফারে ৭৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য গত ১৬ আগস্ট চাদাঁ সংগ্রহ শুরু করে। যার জন্য প্রথম দফায় নির্ধারিত সর্বশেষ সময় ছিল ২৩ আগস্টের বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। ওই সময়ে বন্ডটির চাহিদার ৭৫০ কোটি টাকার বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা মাত্র ৫৫ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বা ৭.৪১৫% আবেদন করেন। এতে ৭১ জন বিনিয়োগকারী আবেদন করেন।
এই ব্যর্থতার পরে বেক্সিমকো সাবস্ক্রিপশনের সময় ১০ কার্যদিবস বাড়ায়। যা ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ফলাফল প্রায় আগের মতোই থাকে।
১ম দফায় সময় বাড়ানোর পরে বেক্সিমকোর বন্ডটিতে বর্ধিত সময়ে মাত্র ১ জন বিনিয়োগকারী আবেদন করেন। যাতে করে মোট ৭২ জনের ৭৫০ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে মাত্র ৫৫ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বা ৭.৪২৯% আবেদন জমা পড়ে। অর্থাৎ বর্ধিত সময়ে ১ জন ১০ লাখ টাকার আবেদন করেন। কিন্তু চাহিদা পূরণে ঘাটতি ছিল ৬৯৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার।
এরপরে ২য় দফার বর্ধিত ২৪ দিনের মধ্যে ২৩তম দিনে (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সময়ে আরও ১ জন আবেদন করেছেন। এক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকার আবেদন করা হয়েছে। যাতে মোট ৭৩ জনের ৫৫ কোটি ৭৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বা ৭.৪৩৫% আবেদন জমা পড়েছে।
তবে এই পাবলিক অফারটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামিকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায়। ওই সময়ের মধ্যে ৩০ শতাংশ আবেদন জমা না পড়লে অফারটি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গত ৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়িয়ে বেক্সিমকো দেওয়া এক চিঠিতে বিএসইসি উল্লেখ করেছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডেবট সিকিউরিটিজ রুলসের ১২(২) অনুযায়ি প্রয়োজনীয় আবেদন জমা না পড়লে, পাবলিক অফারটি বাতিল করা হবে।
ডেবট সিকিউরিটিজ রুলসের ১২(২) ধারায় বলা হয়েছে, পাবলিক অফারের যেকোন সিকিউরিটিজে সাধারন বিনিয়োগকারীদের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ আবেদন জমা পড়তে হবে। এছাড়া আন্ডাররাইটারের (অবলেখক) ২০ শতাংশ আবেদনের পড়েও যদি ৫০ শতাংশের কম হয়, তাহলে ইস্যুটি বাতিল হবে।
এ হিসেবে ৭৫০ কোটির পাবলিক অফারটিতে কমপক্ষে (অবলেখক ব্যতিত) ২২৫ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে আগামিকালকের মধ্যে আরও ১৬৯ কোটি ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আবেদন পড়তে হবে।
উল্লেখ্য বেক্সিমকোর প্রস্তাবিত গ্রিন সুকুকটির আকার ৩ হাজার কোটি টাকার। এরমধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা আইপিওতে উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ। বাকি ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকার প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের থেকে ৭৫০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ।
গত ২৩ জুন কতিপয় শর্তসাপেক্ষে বিএসইসি বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদী সিকিউরড কনভার্টেবল অথবা রিডেম্বল অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুক এর প্রস্তাব প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
এই সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করে বেক্সিমকো লিমিটেডের টেক্সটাইল ইউনিটের কার্যক্রম বর্ধীতকরণ এবং বেক্সিমকো দুটি সরকার অনুমোদিত সাবসিডিয়ারি নবায়ন যোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের (তিস্তা সোলার লিমিটেড এবং করতোয়া সোলার লিমিটেড) বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিবেশ উন্নয়ন এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে চায়।
এই সুকুকের প্রতি ইউনিটে অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। সুকুকটির নূন্যতম সাবস্কিপশন ৫ হাজার টাকা ও নূন্যতম লট ৫০টি। সুকুকটির সর্বনিন্ম প্রিয়ডিক ডিস্ট্রিবিউশন রেট ৯ শতাংশ।
সুকুকটির ট্রাস্টি হিসেবে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে যথাক্রমে সিটি ব্যংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস ও অগ্রণী ইক্যুইটি এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাজ করছে।
Posted ১২:৫৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
bankbimaarthonity.com | saed khan