বিবিএ নিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট | 156 বার পঠিত
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই খাত) উন্নয়নে আরও ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে ম্যানিলাভিত্তিক বহুজাতিক ঋণদানকারী সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা এ বিষয়ে এডিবির সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত করেছে। আগামী মাসের শেষের দিকে এডিবির বোর্ড সভায় এ সংক্রান্ত ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইআরডির এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
চলমান ‘স্মল স্কেল এমপ্লয়মেন্ট প্রোগামের’ আওতায় কম সুদে ও সহজ শর্তে এই ঋণ দেয়া হবে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে এসএমই খাতের উন্নয়নে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এডিবি। এরিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়েছে। এখন নতুন করে আরও ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ইআরডির এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন ঋণ প্রস্তাব এডিবির বোর্ড সভায় পাসের পর দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি সই হবে। এর পর অর্থ ছাড় হবে।
ঢাকা চেম্বারের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২৫ শতাংশ আসে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত থেকে। এই খাত সারা বিশ্বে উন্নয়নের চালিকা শক্তি। বাংলাদেশেও এসএমই খাতে অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। মোট কর্মসংস্থানের ৩৬ শতাংশ এই খাতের অবদান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনায় এ খাতের উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০২১ সালে এসএমই খাতের বিক্রি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৮৬ শতাংশ কমে গেছে।
ইআরডির কর্মকর্তারা বলেন, এসএমই খাতে বড় একটি অংশ নারী উদ্যোক্তা। করোনায় এদের অনেকেরই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বহু কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। কমে গেছে আয়ও।
আলোচ্য প্রোগ্রামের আওতায়, ক্ষতিগ্রস্ত ওই সব নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বিদেশ ফেরত কর্মী ও প্রশিক্ষিত যুবকের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
ইআরডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, ঋণের টাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। সর্বনিম্ম ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকার এ পর্যন্ত ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। এতে মোট অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
এর মধ্যে এসএমই খাতের উন্নয়নে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়। তবে এ তহবিল থেকে ঋণ পেতে নানা ধরনের জটিলতা তৈরির অভিযোগ উঠেছে। ঋণ বিতরণে ধীর গতির কারণে অনেক উদ্যোক্তারা ব্যবসা শুরু করতে পারছে না।
উদ্যোক্তারা বলেছেন, সময়মতো ঋণ না পাওয়া তাদের জন্য বড় বাধা।
Posted ১২:২৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy