বিবিএ নিউজ.নেট | সোমবার, ২১ জুন ২০২১ | প্রিন্ট | 189 বার পঠিত
দেশের উন্নয়নে কয়েকটি প্রকল্পে ৩৩৯ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ইউরো সমতুল্য ৩ হাজার ৪৬৩ কোটি ৩ লাখ টাকা দেবে জার্মানি।
প্রতি দু’ বছর পর পর বাংলাদেশ ও জার্মান সরকারের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। করোনাকালীন অবস্থায় বাংলাদেশ ও জামার্নির মধ্যে এটা সর্বোচ্চ পরিমাণে আর্থিক চুক্তি। এর আগে এত পরিমাণে ঋণ ও অনুদান দেয়নি জার্মান।
গত২০ জুন শেরে বাংলানগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জার্মান সরকারের মধ্যে এ ঋণ ও অনুদান প্রদান সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও জার্মান সরকারের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহল্টস চুক্তিতে সই করেন।
কারিগরি সহায়তা অনুদান হিসেবে দেবে জার্মান। অন্যদিকে আর্থিক সহায়তা দেবে ঋণ হিসেবে। নামমাত্র সুদে এই ঋণ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য।
ঋণ-অনুদান চুক্তিসই অনুষ্ঠানে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকের চুক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ-জার্মানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। এসডিজি অর্জনে আজকের চুক্তি সুদূরপ্রসারী অবদান রাখবে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কাজে সবসময় সঙ্গী হবো। ’
তিনি আরো বলেন, প্রতি দু’ বছর পর পর বাংলাদেশ-জার্মান সরকারের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিক চুক্তি হয়ে থাকে। করোনাকালেও রেকর্ড পরিমাণে চুক্তি অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমরা গর্বিত। ’
৩৩৯ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ৪৭ দশমিক ০৪ মিলিয়ন ইউরো অনুদান হিসেবে দেবে জার্মান। বাকি ২৯২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো ঋণ হিসেবে দেবে।
এর মধ্যে ‘রিনেবল এনার্জি অ্যান্ড এনার্জি ইফিসিয়েন্সি প্রকল্পে ২৩৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে জার্মান সরকার। এছাড়া সাসটেনেবল আরবান ডেভলপমেন্ট প্রকল্পে ৩০ মিলিয়ন, গুড গভর্নমেন্স প্রকল্পে ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন, ডিসপ্লেসমেন্ট অ্যান্ড মাইগ্রেশন প্রকল্পে ১৯ মিলিয়ন, ট্রেইনিং অ্যান্ড সাসটেনেবল গ্রোথ ফর ডিসেন্ট জব প্রকল্পে ৪২ দশমিক ৫ মিলিয়ন এবং প্রটেকশন অব বায়োডায়ভার্সিটি প্রকল্পে দেবে ৫ মিলিয়ন ইউরো।
১৯৭২ সাল থেকে জার্মান সরকার বাংলাদেশকে ঋণ ও অনুদান দিয়ে আসছে। বর্তমানে এর পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশকে জার্মান সরকার বিভিন্ন খাতে অনুদান ও ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাত, দারিদ্র বিমোচন, সুশাসন এবং মানবাধিকার খাত, জ্বালানি দক্ষতা উন্নয়ন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত ও জলবায়ু পরিবর্তন থেকে রক্ষা করা।
Posted ৪:২৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ জুন ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy