বিবিএনিউজ.নেট | সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 331 বার পঠিত
জালিয়াতি করে যারা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন তাদের বন্ধকী সম্পদ নিলামের উদ্যোগ নিয়েছে বেসিক ব্যাংক। ইতোমধ্যে তিনটি বন্ধকী সম্পদ নিলাম করে ঋণের আংশিক টাকা আদায় করা হয়েছে। চলতি বছরেও এ কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। যেসব গ্রাহক জালিয়াতি করে ঋণ নিয়ে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে গেছেন, তাদের দেশে ফেরত আনার তৎপরতাও শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান শুরু করেছে ব্যাংকটি। চলতি মাস থেকে ঋণ আদায় কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হয়েছে। আমরা মনে করি, এ জালিয়াতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হোক। তাহলে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিরুৎসাহিত হবে।
জানা যায়, জালিয়াতির কারণে মূলধন হারানো বেসিক ব্যাংক আর্থিক দুর্বলতা ঘোচাতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, আমানত বাড়ানো ও বকেয়া ঋণ আদায়। একই সঙ্গে খরচ নিয়ন্ত্রণ করে আয় বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ করেছে এ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে বিদায়ী বছরে ব্যাংকটি নতুন নতুন বিশেষ সঞ্চয়ী স্কিম চালু করেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে নতুন আমানত সংগ্রহ করছে। এর মাধ্যমে তারল্য প্রবাহ বাড়িয়ে ব্যাংকটির কার্যক্রম গতিশীল করার চেষ্টা করা হবে।
২০১২ সালে বেসিক ব্যাংক জালিয়াতি করে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা ধরা পড়ে। এরপর থেকে সবল ব্যাংকটি দুর্বল হতে থাকে। সে দুর্বলতা এখনো ব্যাংকটি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। দুর্বলতা কাটাতে বেসিক ব্যাংককে সরকার থেকে ৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। তাতেও দুর্বলতা কাটেনি। তিন বছর ধরে ব্যাংকটিকে কোনো মূলধনের জোগান দেয়া হচ্ছে না। সরকার এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটিকে আর কোনো মূলধন জোগান দেয়া হবে না। নিজস্ব উদ্যোগে সারভাইভ (টিকে থাকতে) করতে হবে।
সরকার থেকে আর মূলধন পাওয়া যাবে না- এমন বার্তা পেয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখন নিজেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে ঋণ আদায় ও আমানত বাড়ানোর ওপর। এক্ষেত্রে ব্যাংকখাতের শৃঙ্খলা ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণই হতে পারে কার্যকর পদক্ষেপ।
Posted ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | Sajeed