বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেশে উৎপাদিত ৩৫ শতাংশ চা হয় ২০ বাগানে

বিবিএনিউজ.নেট   |   মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   1466 বার পঠিত

দেশে উৎপাদিত ৩৫ শতাংশ চা হয় ২০ বাগানে

দেশে বর্তমানে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৬। এর মধ্যে উৎপাদনে ভালো করছে মুষ্টিমেয় কিছু বাগান। গত বছরের পুরো সময়ে দেশের সবক’টি বাগান মিলে ৮ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন করেছে, যার ৩৫ শতাংশই এসেছে ২০টি বাগান থেকে।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৮ সালে ১৬৬টি বাগান চা উৎপাদন ও বিক্রি করলেও মুষ্টিমেয় কিছু বাগানই চা উৎপাদনে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। রুগ্ণ ও পিছিয়ে পড়া বাগানগুলো লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন করলে বাংলাদেশ চা উৎপাদনে আরো বেশি এগিয়ে যেত বলে মনে করছেন তারা।

সর্বশেষ নিলাম বর্ষের চা উৎপাদন ও বিপণন প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে দেশের সব বাগান মিলে ৮ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন করলেও সর্বশেষ নিলাম মৌসুমে নিলামে বিক্রি হয়েছে ৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩৮ হাজার কেজি। এর মধ্যে ২০টি বাগানই বিক্রি করেছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৫ হাজার ৫৪২ কেজি চা, যা নিলামে বিক্রীত মোট চায়ের ৩৬ শতাংশ ও মোট উৎপাদনের প্রায় ৩৫ শতাংশ।

উৎপাদনে এগিয়ে থাকা বাগানগুলো প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি চা উৎপাদন করেছে। দেশে হেক্টরপ্রতি চা উৎপাদন দেড় হাজার কেজি হলেও এসব বাগান গড়ে দুই-আড়াই হাজার কেজি পর্যন্ত চা উৎপাদন করেছে গত বছর। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ভালো মানের চা উৎপাদনেও এগিয়ে রয়েছে এসব বাগান।

সর্বশেষ নিলাম মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চা বিক্রি করেছে রাজঘাট চা বাগান। বাগানটি ২৯ লাখ ৫২ হাজার ২০৩ কেজি চা বিক্রি করেছে। চা বিক্রিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিনস্টোন। তাদের বিক্রীত চায়ের পরিমাণ ২৮ লাখ ৬১ হাজার ৯২০ কেজি। এছাড়া তৃতীয় অবস্থানে থাকা রশিদপুর চা বাগান ১৯ লাখ ২০ হাজার ৮৪ কেজি, চতুর্থ অবস্থানে থাকা মৈত্রী চা বাগান ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৯ ও পঞ্চম স্থানে থাকা চান্দপুর বাগান ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৩৭ কেজি চা বিক্রি করেছে।

সর্বশেষ মৌসুমে মধুপুর বাগান প্রতি কেজি চা গড়ে ৩০৬ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করেছে। অন্য বাগানগুলোর মধ্যে ক্লিভডন ৩০৫ টাকা ৮৮ পয়সা, খৈয়াছড়াডালু ২৯৬ টাকা ৭৪, নেপচুন ২৮৭ টাকা ২০ ও জেরিন চা বাগান ২৮৬ টাকা ১৬ পয়সা দামে বিক্রি করে প্রতি কেজি চা।

যদিও সর্বশেষ মৌসুমে নিলামে প্রতি কেজি দেশী চায়ের গড় বিক্রয়মূল্য ছিল ২৬২ টাকা ৯২ পয়সা। অর্থাৎ জাতীয় গড়ের চেয়েও বেশি দামে চা বিক্রি করেছে এসব বাগান।

চা খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে চা উৎপাদনে শীর্ষ কিছু বাগানই নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাকি বাগানগুলো কোনো রকমে বাগান পরিচালনা করছে। রুগ্ণ বাগানগুলোর কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে চা উৎপাদনের শীর্ষ অবস্থানে যেতে পারছে না। দেশে চায়ের চাহিদা বাড়লেও ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন না বাড়ায় আমদানিও বাড়ছে। রুগ্ণ বাগানগুলো উৎপাদনের ধারাবাহিকতায় ফিরে আসতে পারলে চাহিদার তুলনায় বেশি চা উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) মো. মুনির আহমেদ বলেন, দেশের মুষ্টিমেয় কিছু বাগানই ভালো মানের চা ও পরিমাণের দিক থেকে বেশি চা উৎপাদন করছে। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। এরই মধ্যে রুগ্ণ বাগানগুলোকে নোটিশ করা ছাড়াও শুনানির মাধ্যমে ধারাবাহিক উৎপাদনে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার বাগানগুলোর উৎপাদন বাড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাগানসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সর্বশেষ বছরে ৭২টি বাগান গড়ে তিন লাখ কেজিরও কম চা উৎপাদন করেছে। অর্থাৎ তিন লাখ কেজির বেশি চা উৎপাদনকারী বাগানের সংখ্যা ৯৬।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11167 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।