শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরীক্ষকের অভিমতেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নীরব

বিবিএনিউজ.নেট   |   রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২০   |   প্রিন্ট   |   423 বার পঠিত

নিরীক্ষকের অভিমতেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নীরব

আরামিট সিমেন্ট থেকে ৬৪ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে পরিচালকরা, ছয় কোটির আরামিটের সাড়ে ২৯ কোটি টাকার ঋণ অনিয়ম, মজুত পণ্যের প্রমাণ দেয়নি সেন্ট্রাল ফার্মা, এফডিআর ভেঙে ফেলেছে উসমানিয়া গ্লাস শিট, ভবিষ্যত ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে শঙ্কা, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে জিল বাংলা সুগার ও বিচ হ্যাচারি। কোম্পানিগুলো নিয়ে এ ধরনের ভয়ঙ্কর অভিমত দিয়েছে নিরীক্ষক। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপই নেই পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কোম্পানির নিয়োগ করা নিরীক্ষকই যখন কোম্পানি সম্পর্কে আপত্তিকর অভিমত দেয়, তখন বুঝতে হবে ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে অর্থ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আগে কোম্পানি সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ নিতে হবে।

তাদের অভিমত, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উচিত নিরীক্ষকের আপত্তি দেয়া কোম্পানিগুলোর অবস্থা ভালো করে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিএসইসি কিছুতেই এ বিষয়ে দায়িত্ব এড়াতে পারে না। যদি বিএসইসি এসব কোম্পানির ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেয়, বুঝতে হবে তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সম্প্রতি প্রায় এক ডজন কোম্পানির বিষয়ে অভিমত দিয়েছে নিরীক্ষক। নিরীক্ষকের অভিমত অনুযায়ী, কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। কোম্পানি থেকে পরিচালকদের অর্থ সরিয়ে নেয়া, অর্থ সংকটে পড়া, নিম্নমানের পণ্য উৎপাদনসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের তথ্য দিয়েছে নিরীক্ষক।

এ বিষয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, প্রায় বিভিন্ন কোম্পানির অনিয়ম নিয়ে নিরীক্ষক তার অভিমত দেয়। কিন্তু নিরীক্ষকের এসব অভিমতের ওপর ভিত্তি করে কখনও কোনো কোম্পানির কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। বছরের পর বছর ধরে ডিএসইর ওয়েবসাইটে কয়টি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এমন বার্তা প্রকাশ করা হচ্ছে কিন্তু ওই কোম্পানিগুলোর বিষয়ে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। সেখানে নিরীক্ষকের আপত্তিকর মন্তব্য করা কোম্পানির বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নেবে, এটা আশা করা বোকামি। এজন্য বিনিয়োগকারীদের দায়িত্ব নিতে হবে। বিনিয়োগের আগে তাদের কোম্পানির সার্বিক বিষয়ে খতিয়ে দেখতে হবে।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা বলেন, যে নিরীক্ষকরা এসব অভিমত দিয়েছেন তারা কোম্পানিরই নিয়োগ করা। কোম্পানির নিয়োগ করা নিরীক্ষক যখন এমন অভিমত দেন, তখন বিনিয়োগকারীদের উচিত ওই কোম্পানি থেকে বেরিয়ে যাওয়া। কারণ, নিজের পুঁজি রক্ষায় বিনিয়োগকারীকেই প্রাথমিক দায়িত্ব নিতে হবে।

তিনি বলেন, জনবল সংকটের কারণে অনেক সময় বিএসইসি এসব বিষয় দেখে না। তাদের কাছে রিপোর্ট যায়, কিন্তু তারা ভালো করে দেখে না। এটা তাদের ব্যর্থতা। আর যদি দেখেও ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে এখানে কোনো কলুষতা আছে। এটা বিশ্বাসযোগ্য না যে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা তার দায়িত্ব পালন করেনি। কারণ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা তো এ বিষয়গুলোই দেখে। এগুলো না করার (নিরীক্ষকের অভিমতের ওপর পদক্ষেপ না নেয়া) অর্থ হলো, বিএসইসি দেখেও না দেখার ভান করছে। তাহলে বিএসইসি আছে কী জন্য? বিনিয়োগকারীর পক্ষে তো সবসময় সবকিছু দেখে বিনিয়োগ করা সম্ভব না।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, নিরীক্ষকের যেসব কোয়ালিফাইড অপিনিয়ন গ্রহণযোগ্য এবং কোম্পানির স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে আমরা কর্পোরেট ফাইন্যান্স বিভাগকে দেখার জন্য দায়িত্ব দেই। পরবর্তীতে কোম্পানি কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তা দেখা হয়। আমরা দুই স্টক এক্সচেঞ্জকেও কর্পোরেট ফাইন্যান্স বিভাগ খোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

আরামিটের সাড়ে ২৯ কোটি টাকা ঋণে অনিয়ম : কোম্পানিটির ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে নিরীক্ষক জানিয়েছে, আরামিট লিমিটেডের পরিচালনাপর্ষদ অনিয়মের মাধ্যমে পাঁচটি কোম্পানিতে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৭ টাকা ঋণ দিয়েছে। অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দেয়া পাঁচটি প্রতিষ্ঠানেই আরামিটের পরিচালকদের স্বার্থ রয়েছে। স্বল্পমেয়াদী ঋণ হিসাবে দেয়া এ ঋণের ক্ষেত্রে কোম্পানি আইন ও বিএসইসির নোটিফিকেশন মানা হয়নি।

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস) লঙ্ঘন করে একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে আরামিট ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ টাকা বিনিয়োগ করেছে। আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস) ২৮ অনুযায়ী, ওই বিনিয়োগকে ইক্যুইটি পদ্ধতিতে দেখানো বাধ্যতামূলক হলেও আরামিট কর্তৃপক্ষ তা করেনি। তারা প্রতি বছরই বিনিয়োগ একই পরিমাণ দেখিয়ে আসছে। অথচ ইক্যুইটি পদ্ধতিতে ওই বিনিয়োগ কম-বেশি হওয়ার কথা।

আরামিট সিমেন্ট থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৬৪ কোটি টাকা : প্রতিষ্ঠানটির ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা করে নিরীক্ষক জানিয়েছে, আরামিট সিমেন্ট তিন অর্থবছর ধরে লোকসানে রয়েছে। বন্ধ রয়েছে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়া। এ পরিস্থিতেই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনাপর্ষদ নিয়মবহির্ভূত ঋণের মাধ্যমে চারটি কোম্পানি থেকে ৬৩ কোটি ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৫৫ টাকা সরিয়ে নিয়েছে।

নিরীক্ষক আরও জানিয়েছেন, সহযোগী আরামিট পাওয়ার ও আরামিট আলু কম্পোজিট প্যানেলে তিন কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেছে আরামিট সিমেন্ট। আইএএস অনুযায়ী, এ বিনিয়োগ ইক্যুইটি পদ্ধতিতে দেখানো বাধ্যতামূলক হলেও আরামিট সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ তা করেনি। তারা প্রতি বছরই বিনিয়োগ একই পরিমাণ দেখিয়ে আসছে। অথচ ইক্যুইটি পদ্ধতিতে ওই বিনিয়োগ কম-বেশি হওয়ার কথা।

সেন্ট্রাল ফার্মার মজুত পণ্যের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ : প্রতিষ্ঠানটির ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা করে নিরীক্ষক অভিমত দিয়েছে, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ক্রয়, উৎপাদন সক্ষমতা, উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রির তুলনায় অনেক বেশি মজুত পণ্য রয়েছে। যা নিয়মিত বেড়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুন দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। তবে মজুত পণ্যের পরিমাণ ও মান নিয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিরীক্ষককে টেকনিক্যাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেয়নি। পাশাপাশি ২০১৯ সালের ৩০ জুন হিসাব বছর শেষ হলেও নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষককে ৫ অক্টোবর নিয়োগ দেয়া হয়। এতে স্বাভাবিকভাবেই তিন মাস আগের মজুত পণ্যের পরিমাণ যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আবার কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মজুত পণ্যের তথ্য সঠিকভাবে রেকর্ডও করেনি এবং এ সংশ্লিষ্ট কোনো সঠিক প্রমাণও দেয়নি। যা অধিকাংশ মজুত পণ্যের অস্তিত্ব, অবস্থা ও বিক্রয় মূল্য সন্দেহজনক।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, নয় কোটি ৩১ লাখ টাকা কর না দেয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটির জনতা ব্যাংকে খোলা তিনটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করে রেখেছে রাজস্ব কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল রাজস্ব কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ হিসাব জব্দ করা হলেও সমস্যা সমাধানে এখনও কোনো উন্নতি হয়নি। যে কারণে কোম্পানি সব লেনদেন নগদে হচ্ছে।

কোম্পানিটির পাওনা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে নিরীক্ষক। নিরীক্ষক জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেষে গ্রাহকের কাছে সেন্ট্রাল ফার্মার ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা পাওনা দাঁড়ালেও এ বিষয়ে সর্বশেষ স্ট্যাটাস রিপোর্ট ও বিক্রির নিশ্চিতকরণ সনদ নিরীক্ষককে দেয়া হয়নি। এমনকি পাওনার বিস্তারিত তথ্য নেই এবং পাওনা আদায়ের পলিসিও নেই। এতে পাওনা টাকা আদায় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, কিন্তু কোম্পানি কোনো ধরনের সঞ্চিতি গঠন করেনি।

জিল বাংলা সুগারের সম্পদ-সংরক্ষিত আয় ঋণাত্মক : প্রতিষ্ঠানটির ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা করে নিরীক্ষক অভিমত দিয়েছে, নিট সম্পদ ও সংরক্ষিত আয় ঋণাত্মক থাকা জিল বাংলা সুগারের পক্ষে আগামী কয়েক বছর মুনাফা করা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে সরকারের সহায়তা ছাড়া কোম্পানিটির পক্ষে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করাও সম্ভব নয়।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা পাওনা দেখালেও এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কোম্পানিটি। আবার আইএএস অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ডেফার্ড ট্যাক্স গণনা করা হয়নি। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী সম্পদের ওপরে ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে অবচয় চার্জ করার নিয়ম হলেও প্রতিষ্ঠানটি কিছু স্থায়ী সম্পদের ওপর সরল রৈখিক হারে অবচয় চার্জ করেছে।

বিচ হ্যাচারির উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা : প্রতিষ্ঠানটির ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব বিশ্লেষণ করে নিরীক্ষক অভিমত দিয়েছে, হ্যাচারি প্ল্যান্টের কিছু জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি সরকার মেরিন ড্রাইভ রোড তৈরি করতে প্রতিষ্ঠানটির কারখানার ভবন ও হ্যাচারি ইকুইপমেন্ট ভেঙে ফেলায় ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে বিচ হ্যাচারির বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনাপর্ষদ পদক্ষেপ নিয়েও উৎপাদন শুরু করতে না পারায় কয়েক বছর ধরে বড় লোকসান হচ্ছে। এতে সংরক্ষিত আয় এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় কোম্পানিটির ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিচ হ্যাচারির সম্পদ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে নিরীক্ষক। এ বিষয়ে নিরীক্ষকের অভিমত, উৎপাদন বন্ধ থাকার পরও এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটি গ্রাহকের কাছে ২৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা পাওনা দেখিয়েছে। অথচ এর বিপরীতে কোনো সঞ্চিতি রাখেনি। এতে কোম্পানির সম্পদ বেশি এবং নিট লোকসান কম দেখানো হয়েছে। আবার প্রতিষ্ঠানটি ২১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার স্থায়ী সম্পদ দেখালেও এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি। এতে নিরীক্ষক সম্পদের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

উসমানিয়া গ্লাস শিটের বিক্রির মূল্য থেকে উৎপাদন ব্যয় বেশি : বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়ে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি এফডিআর ভেঙে ফেলেছে। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে লোকসানের মাত্রা। ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি ৬৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এখন সরকার নগদ অর্থ এবং নতুন ও উন্নত প্রযুক্তির মেশিনারিজ ইনস্টল (স্থাপন) না করলে কোম্পানিটির পক্ষে ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এমন অভিমত দিয়েছে নিরীক্ষক।

কোম্পানিটির উৎপাদন ও বিক্রির তথ্য তুলে ধরে নিরীক্ষক অভিমত দিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উৎপাদন করা ৩২ লাখ স্কয়ার ফিট সাব-স্ট্যান্ডার্ড গ্লাস শিট ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিক্রি করা হয়েছে। এগুলো উৎপাদনে ব্যয় চার কোটি ৭১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। কিন্তু বিক্রি করা হয় দুই কোটি ৫৪ লাখ আট হাজার টাকায়। ফলে দুই কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।

কোম্পানিটির লোকসানের কারণ হিসেবে তিনটি বিষয়কে সামনে এনেছে নিরীক্ষক। এর মধ্যে একটি পণ্যের উৎপাদন ব্যয় থেকে বিক্রয়ের মূল্য কম। অপর দুটি হলো- কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি এবং উচ্চ বিক্রয় কমিশন।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ২:০৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।