আবারও দরপতনের ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও অজানা ভয় ও আতঙ্ক কাজ করছে। সে কারণে তারা শেয়ার কেনার পরিবর্তে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ কারণে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার (৮ আগস্ট) দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে।

এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৪৫ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৯৬ পয়েন্ট।

সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে ৩১ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত টানা ৫ কর্মদিবস পুঁজিবাজারে উত্থানের পর নতুন সপ্তাহের প্রথম দুই কর্মদিবস দরপতন হলো।

ডিএসইর তথ্য মতে, সোমবার ডিএসইতে ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৫টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। যার মূল্য ১ হাজার ৮৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১১৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮০টি কোম্পানির শেয়ারের। এর মধ্যে ১০৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২১১টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএস সূচক ৮ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর ছিল মালেক স্পিনিং, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, অলিম্পিক, ইন্ট্রাকো, লাফার্জহোলসিম, সী পার্ল বিচ, ম্যাক্সন স্পিনিং, একমি পেস্টিসাইডস এবং ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৪৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১২১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৩৭ লাখ ৮ হাজার ৮৫১ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২১ কোটি ৭২ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬২ টাকার শেয়ার।