বিবিএনিউজ.নেট | রবিবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট | 712 বার পঠিত
দরপতন আর লেনদেন খরা থেকে বের হতে পারছে না শেয়ারবাজার। আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে।
মূল্য সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে। ফলে ডিএসইতে পতনের খাতায় নাম লিখিয়েছে ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৭৩টির। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৪৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় পাঁচ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৪২ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার দিনে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৬৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩২ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর পরেই রয়েছে ফরচুন সুজ। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- গ্রামীণফোন, মুন্নু সিরামিক, ইস্টার্ন কেবলস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ, ন্যাশনাল পলিমার এবং ন্যাশনাল টিউবস।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৪৪ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৬২টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দাম।
Posted ৩:৪৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed