বিবিএনিউজ.নেট | রবিবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 326 বার পঠিত
পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ক্ষেত্রে লটারি পদ্ধতি উঠে যাচ্ছে ২০২১ সালে। এখন থেকে আইপিওতে যিনিই আবেদন করবেন, তিনিই শেয়ার পাবেন। তবে আইপিও আবেদনের আগে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর বাজারমূল্যে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে তথা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে। অর্থাৎ আইপিও আবেদন করার আগে একজন বিনিয়োগকারীর সেকেন্ডারি বাজারে ২০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন বছরের ১ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে বরাতে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
বিএসইসি জানায়, আইপিওতে বিদ্যমান লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে একজন বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বা তার গুণিতক পরিমাণ অর্থ জমা দিতে হবে।
ধরা যাক, একজন বিনিয়োগকারী কোনো একটি কোম্পানির আইপিও শেয়ারের জন্য আবেদন করবেন। প্রথমত. ওই বিনিয়োগকারীর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে অর্থাৎ সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত. আইপিও আবেদনের জন্য একজন বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বা তার গুণিতক ২০, ৩০, ৪০ হাজার টাকা করে চাঁদা জমা দিতে হবে। যেহেতু লটারি পদ্ধতি উঠে যাচ্ছে, সেহেতু সব আবেদনকারী তার আবেদনের ভিত্তিতে শেয়ার বরাদ্দ পাবেন।
মনে করি, কোনো কোম্পানির আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ কোটি শেয়ার বরাদ্দ রয়েছে। সেখানে ১০ লাখ বিনিয়োগকারীর সবাই ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়ে আবেদন করেছেন। তাহলে প্রত্যেক আবেদনকারীকে ওই কোম্পানির ১০টি করে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বিষয়টি পুঁজিবাজারে গুণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহায়ক বলে আমাদের ধারণা। যদি এর শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয় তাহলে সেকেন্ডারি মার্কেটও উপকৃত হবে। এখানে যেসব বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেছেন, তাদের আগ্রহ আরও বাড়বে। একই সঙ্গে নতুন বিনিয়োগকারীরা বাজারে যুক্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন। এতে বাজারের গভীরতা বাড়বে।
Posted ১:১৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | Sajeed