বিবিএনিউজ.নেট | মঙ্গলবার, ০৩ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট | 393 বার পঠিত
স্টক এক্সচেঞ্জের স্বতন্ত্র পরিচালকদের কর্মকাণ্ডের ওপরই বিনিয়োগকারীদের আস্থা এবং বাজারের গতিশীলতা নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।
সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন পরিচালনা পর্ষদ বিএসইসির কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমানকে চেয়ারম্যান করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর নতুন এ পর্ষদ গঠিত হয়।
নতুন পর্ষদ গঠনের আট দিনের মাথায় সোমবার প্রথমবারের মতো বিএসইসির চেয়ারমান ড. এম. খায়রুল হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান ডিএসইর পরিচালকরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, ড. স্বপন কুমার বালা ও খোন্দকার কামালুজ্জামান।
ডিএসইর প্রতিনিধি দলে ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, সালমা নাসরিন, মো. মুনতাকিম আশরাফ, অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, মো. শাকিল রিজভী, মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক এবং মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।
সাক্ষাতে বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন ডিএসইর পর্ষদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিভিন্ন সেক্টর থেকে আসা বহুমুখী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সফল ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ। তাদের সঙ্গে আছেন পুঁজিবাজারের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পরিচালকরা।
তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জকে কেন্দ্র করেই পুঁজিবাজারের সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের কাছে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। স্বতন্ত্র পরিচালকদের কর্মকাণ্ডের ওপরই নির্ভর করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। সেই সঙ্গে নির্ভর করে বাজারের গতিশীলতা। আমাদের সবার উদ্দেশ্য পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া। এজন্য বিএসইসির পক্ষে যে সহযোগিতার দরকার তা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএসইসি বিগত কয়েক বছরে পুঁজিবাজার উন্নয়নে আইনগত ও অবকাঠামোগত বহুবিদ সংস্কার করেছে। এতে পুঁজিবাজারের ভিত অনেক মজবুত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে যে উদ্দেশ্য নিয়ে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বর্ষ পূর্ণ করবে। এই ৫০ বছরের মধ্যে গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রগতি দৃশ্যমান। বাংলাদেশে ১৫ বছরের উন্নয়নের খাত অনুযায়ী বিশ্লেষণ করলে দুটি খাত- একটি সামাজিক খাত আরেকটি অর্থনৈতিক খাত। সামাজিক খাতে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মা ও শিশুর যত্ন, অর্থনৈতিক খাতের চারটি ক্ষেত্র- ব্যাংক, পুঁজিবাজার, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রো ক্রেডিট। সামাজিক ও আর্থিক খাতের সূচকে বাংলাদেশ অনেকাংশে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে আছে।’
‘পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাত অনুযায়ী বাজার মূলধনের পরিমাণ খুবই কম। বাংলাদেশের জিডিপি ও বাজার মূলধনের অনুপাত ১০০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন সিকিউরিটিজ।’
তিনি আরও বলেন, সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের এ সম্ভাবনাময় খাতকে পুঁজি উত্তোলনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে পরিণত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৩০ ও ২০৪১ সালকে সামনে রেখে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যান্য সেক্টর যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের পুঁজিবাজারকেও সেভাবে এগিয়ে নিতে হবে।
Posted ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ মার্চ ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed