বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৭ কোটি টাকা ব্যয়

মেয়র আতিকের প্রচেষ্টায় প্রাণ ফিরেছে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কের

আবুল কাশেম   |   রবিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২২   |   প্রিন্ট   |   357 বার পঠিত

মেয়র আতিকের প্রচেষ্টায় প্রাণ ফিরেছে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কের

রাজধানীর কূটনৈতিক জোন গুলশান দুই নম্বরে মনোরম পরিবেশে আর্কষণীয় ও কারুকার্যময় নক্সা ও সবুজায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ‘বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্ককে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থেকে গুলশানের এ পার্কটিতে প্রাণচাঞ্চল্যতা বেড়েছে। নানা জাতের ১৭’শোর অধিক গাছ পালায় সুসজ্জ্বিত সবুজে ঘেরা পার্কটিতে রুচিসম্মত ও টেকসই খেলনা, ব্যামাগার এবং মুসল্লিদের নামাজের শেডসহ পুরো পার্কের সংস্কার, উন্নয়ন এবং আধুনিকায়ন সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কের ভেতরে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা। পার্কের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন বিবেচনায় মোট ১৯ টি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে এ পার্কের ভেতর-বাহিরের দৃশ্য, হাটার রাস্তা, ব্যায়ামাগার ও নামাজের স্থান, বিভিন্ন স্থানে টয়লেট, ড্রেস চেঞ্জিংরুম, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, বিশাল পুকুর, শেড, অনেক উচু ওয়াচ টাওয়ার, মহিলা ও শিশু কর্ণার, সাইকেল লেন, গ্রন্থাগার ও কফি কর্ণার, এ্যাম্ফিথিয়েটারে ২১ টি বসার বেঞ্চ রয়েছে। রঙিন পানির ফোয়ারা এবং বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সত্যিই আকর্ষণীয়।

২০১৮ সালের ২৫ মার্চ শুরু হয়ে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ এ পার্কের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের কাজ শেষ হয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ সেপ্টম্বর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানিকভাবে এ পার্কের উদ্বোধন করেন। ডিএনসিসির ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিাত ছিলেন-বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, আওয়ামী লীগ দলীয় সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মমকর্তা মো. সেলিম রেজা, স্থাপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ। এরপর এ পার্কের ভেতর ডিএনসিসির বড় বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মেয়র। ওইসব অনুষ্ঠানে একাধিকবার অংশ গ্রহণ করেছেন এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামসহ এবং রাজনীতিবিদ এবং সরকারের একাধিক সচিব।

পার্কের ভেতরে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরাও বেশ স্বাচ্ছন্ন বোধ করনে। এছাড়া সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই এলাকার নানা বয়সী লোকজন ঘুরতে আসেন পার্কে। কেই ব্যায়াম কেউ খেলাধূলা করেন। মহিলা ও শিশুদের বিশ্রামের জন্যও রয়েছে সুন্দর ব্যবস্থা।

 

বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস : ডিএনসিসির অধীন উন্মুক্ত স্থান সমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা শহরের গুলশান এলাকায় ৮৩ নং রোড সংলগ্ন প্রায় ৮ দশমিক ১৮ একর জায়গার উপর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কটি করা হয়েছে। এটি একটি কমিউনিটি পার্ক, যা সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত। পার্কটিতে বয়স্ক নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী লোকের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। পার্কে পায়ে হাটা পথ, সাইকেল লেন, ব্যায়ামাগার, লাইব্রেরী, কেন্টিন, কিয়োস্ক, এম্পিথিয়েটার, বাস্কেটবল ও ব্যাডমিন্টন কোর্টসহ বিনোদন ও খেলার ব্যবস্থা রয়েছে।

পার্কটিতে একটি জলাধারসহ গাছ-গাছালির ব্যবস্থা রয়েছে। পার্কটি সুষ্ঠু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঢাকা উত্তর সিটির পক্ষ থেকে উদ্যোগী সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করা হচ্ছে।

পার্কে ভেতরে বাস্কেটবল গ্রাউন্ড: পার্কের অভ্যন্তরে মেইন গেট দিয়ে ঢুকে হাতের বাম পাশে একটি বাস্কেট বল খেলার একটি মাঠ রয়েছে; যা আরসিসি ফ্লোর করে তৈরি করা হয়েছে। এর সাইজ ২৭ দশমিক ৫ মি.বাই ২০ মি.। বাস্কেট বল মাঠের ছাদে ইমপোর্টেড ৮ মিমি পলিকার্বন শিট ব্যবহার করা হয়েছে। যার উচ্চতা ফ্লোর থেকে ৪ দশমিক ৫০ মিটার। পলিকার্বন শিটের নিচে কাঠের পার্লিন ব্যবহার হয়েছে। এটি সাধারণ জনগনের জন্য উন্মুক্ত।
ব্যাডমিন্টন কোর্ট: পার্কের অভ্যন্তরে পুকুরের উত্তর পাশের ঘাটের সাইডে একটি ব্যাডমিন্টন কোর্ট রয়েছে। যার সাইজ ১৭ দশমিক ৫ মি. বাই ১১ মি.। কোর্টের গ্রাউন্ড সিসি’র উপর পেভমেন্ট টাইলস দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটি পার্ক ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।

ব্যায়ামাগার ও নামাজের স্থান: পার্কের অভ্যন্তরে মেইন গেট দিয়ে ঢুকে হাতের ডান পাশে ব্যায়ামাগার ও নামাজের স্থানটি। এর ফ্লোর আরসিসি এর উপর কোটা ষ্টোন ও টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যায়ামাগার এবং নামাজের ঘর এ থাই অ্যালুমিনিয়াম ফুল হাইট করে তৈরি করা হয়েছে। যার উপরে অ্যালুনমিনিয়াম লুভার ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যায়ামাগার এ ৪টি এবং নামাজের ঘরে ৬টি ফ্যান রয়েছে। ব্যায়ামাগার ও নামাজের স্থানের মধ্যেবর্তী ৭টি টয়লেট ও ২টি চেঞ্জিংরুম রয়েছে। এর সামনে বিনোদনের জন্য বসার সিটিংসহ সবুজের আচ্ছাদন রয়েছে। উদ্যেগী সংস্থা ব্যয়াম অনুশীলন, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

ব্যায়ামাগারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি উদ্যোগী সংস্থাকে নিজ খরচে স্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে পূর্ব অনুমোদনক্রমে কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত হারে ফি নেয়া যেতে পারে।

হাটার পথ: পার্কের অভ্যন্তরে পার্কের চারদিকে হাটার জন্য বিভিন্ন ওয়াক ওয়ে রয়েছে। যার মধ্যে সিসি ব্লক সম্বলিত রাস্তার দৈর্ঘ্য ৬৭৮ রানিং মিটার, ১০ ছিদ্র ইট সম্বলিত রাস্তার দৈর্ঘ্য ৬০০ রানিং মিটার এবং ’সফট পেভিমেন্ট ওয়ার্ক ওয়ের’ দৈর্ঘ্য ১৫৬ দশমিক ২৫ রানিং মিটার। সিসি ব্লক রাস্তাটিতে (২০০ বাই ৬০০ বাই ৬২) মিলিমিটার সাইজের সিসি ব্লক ব্যবহার করা হয়েছে। এর নিচে সিসি ঢালাই করা আছে, ১০ ছিদ্র ইট সম্বলিত রাস্তার নিচে সিসি ঢালাই করা হয়েছে এবং ‘সফট পেভিমেন্ট ওয়ার্ক ওয়ে হেক্সাগোনাল ব্লক’ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। পার্কের অভ্যন্তরে পুকুরের চারদিকে হাটার জন্য তৈরি ওয়াক ওয়ে রয়েছে।

পুকুর, পুকুর ঘাট এবং ঘাট শেড : পার্কের অভ্যন্তরে ১০২ দশমিক ৫০ বাই ৮১ সাইজের একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরের ভিতরে একটি ওয়াটার ফাউন্টেন রয়েছে যাতে ১০টি নোজল ব্যবহার করা হয়েছে। পুকুরের উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম পাশে একটি করে মোট তিনটি ঘাট এবং ২টি ঘাট শেড রয়েছে। এছাড়াও পুকুরে চারিপাশে ৩টি ভিউয়িং ডেক এবং ১টি পারফরমেন্স ডেক রয়েছে। ঘাটে ইম্পোর্টেড লাইট এবং সিরামিক ইট ব্যবহার করা হয়েছে। ঘাট শেডে ছাদ হিসেবে স্টিল বক্স এর উপর উডেন পার্লিন এর উপর ৮মিমি পলিকার্বন শিট ব্যবহার করা হয়েছে।

ওয়াচ টাওয়ার : পার্কের ভেতর ৪ তলা বিশিষ্ট একটি স্টিল স্ট্রাকচার বিল্ডিং রয়েছে। যার উচ্চতা প্রায় ১৪ দশমিক ৩২ মিটার। ইহার গ্রাউন্ড ফ্লোর আরসিসি বাকি উপরের তিন তলা স্টিল স্ট্রাকচার। এর চারপাশে স্টিল নেট দ্বারা আবৃত করা আছে। ৪ তলার উপরে ওভারহেড ওয়াটার ট্যাংক রয়েছে। ট্যাংক এর চারপাশে এমএস লুভার ব্যবহার করা হয়েছে। নিচ তলায় পাম্প রুম ও সিকিউরিটি কন্ট্রোল রুম রয়েছে।

মহিলা ও শিশু কর্ণার : পার্কের উত্তর-পশ্চিম পাশে মহিলা ও শিশু কর্নার রয়েছে। যার ফ্লোর আরসিসি’র ওপর কোটা স্টোন ব্যবহার করে করা হয়েছে। এর এরিয়া প্রায় ২৪০ বর্গমিটার এখানে মহিলাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং মহিলাদের ব্যবহারের জন্য ২টি টয়লেট রয়েছে। এর ছাদ আরসিসি ঢালাই করা হয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় ইমপোর্টেট লাইটের ব্যবস্থা রয়েছে।

কিয়স্ক: পাকের্র অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় ৬টি কিয়স্ক রয়েছে। এতে বসার জন্য সিটিং রয়েছে। প্রতিটি’র ফ্লোরের আয়তন ১৯ দশমিক ৩৬ বর্গমিটার। এর ফ্লোর আরসিসি’র উপর কোটা স্টোন ব্যবহার করে করা হয়েছে। ছাদ হিসেবে স্টিল স্ট্রাকচারের উপর উডেন পার্লিনের উপর ৮মিমি ইমপোর্টেট পলি কারবোনেট লাইট ব্যবহার করা হয়েছে।

এ্যাম্ফিথিয়েটার: পার্কের উত্তর-পূর্ব দিকে পুকুর সংলগ্ন একটি উন্মুক্ত বসার স্থান। এতে ২১ টি বসার বেঞ্চ রয়েছে। বসার বেঞ্চগুলো আরসিসি’র উপর উড প্লাস্টিক কম্পোজিট ব্যবহার করে করা হয়েছে। এখানে বসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখা যায় ও বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান করা যায়। এখানে প্রতিটা সিটিং এ ইমপোর্টেট লাইট ব্যবহার করা হয়েছে। বেঞ্চগুলোর সম্মুখে পুকুরের উপর একটি মনোরম অনুষ্ঠান মঞ্চ রয়েছে।

গ্রন্থাগার ও কফি কর্ণার: পার্কের উত্তর-পূর্ব কর্নারে লাইব্রেরী এবং কফি হাউজ রয়েছে। এর এরিয়া প্রায় ২৮৮ বর্গমিটার। এর ফ্লোর আরসিসি’র উপর কোটা স্টোন ও টাইলস ব্যবহার করে করা হয়েছে। লাইব্রেরী রুম থাই অ্যালুমিনিয়াম ফুলহাইট করে করা হয়েছে। যাহার উপরে অ্যালুমিনিয়াম লুভার ব্যবহার করা হয়েছে। লাইব্রেরী সংলগ্ন একটি কফি কর্নার রয়েছে। এখানে ৬টি টয়লেট রয়েছে এবং ওয়াটার ফাউন্টেইনের কন্ট্রোলরুম রয়েছে। উদ্যোগী সংস্থা আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় বই, ম্যাগাজিন, পত্রিকার ব্যবস্থা করবেন।

সাইকেল লেন: পার্কের চারদিকে হাটার পথের সমান্তরালে প্রায় ৭৫০ রানিং মিটার দীর্ঘ সাইকেল লেন রয়েছে। সাইকেল লেনের বেইজে দুই ধরনের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। এর টপ লেয়ার ইমপোর্টেট কেমিক্যাল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পার্কের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় ২৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যার নিয়ন্ত্রণ কক্ষটি ওয়াচ টাওয়ারের নিচ তলায় রাখা হয়েছে। পার্ক অভ্যন্তরে নিরাপত্তা আলো সরবরাহের জন্য ৫০৫টি বৈদ্যুতিক বাতি রয়েছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য পার্ক অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গা ২৪টি ক্যামেরার পোল রয়েছে এবং বিদ্যুৎ ও বাতি স্থাপনের জন্য পার্ক অভ্যন্তরে ৩০টি বৈদ্যুতিক পোল রয়েছে।

বেস্টনী দেয়াল: পার্কের পূর্ব ও পশ্চিমে দৃষ্টি নন্দন স্টিল বাউন্ডারী ফেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিন পাশে ইটের গাথুনির উপর প্লাস্টারের ওয়েদার কোট রং করা বাউন্ডারি রয়েছে।

পাবলিক টয়লেট: পার্কের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন বিবেচনায় মোট ১৯ টি টয়লেট রয়েছে। যার মধ্যে মসজিদ ও জিমনেশিয়াম প্রান্তরে ১১টি, মহিলা ও শিশু কর্ণার প্রান্তরে ২টি এবং লাইব্রেরী ও কফি হাউজ প্রান্তরে ৬টি। প্রতিটি টয়লেটে হাই কমোড, হাত ধোয়ার বেসিন, আয়না, লাইট, লিকুইড স্ট্যান্ড এবং টাওয়েল স্ট্যান্ডসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি রয়েছে।

ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. তারেক বিন ইউসুফ গুলশান এলাকার প্রাণ ‘বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কের’ আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে বলেন, জনবান্ধব মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম স্যারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই এ পার্কের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। শুধু এ পার্কই নয় ডিএনসিসিতে ২৩টি পার্ক ও খেলার মাঠের আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন করা হয়েছে। বাকি পার্ক ও খেলার মাঠগুলোকে দ্রুত উন্নয়নের চেষ্টায় রয়েছেন মেয়র স্যার।

তিনি আরো বলেন, ‘বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কসহ’ নগরীর পার্ক ও খেলার মাঠগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় কতিপয় লোক অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করতো। এতোদিন দখলদাররা পার্কের পরিবেশ নষ্ট করেছে। অধিকাংশ পার্কের ভেতর তারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছিল। কিন্তু মেয়র স্যারের আন্তরিক প্রচেষ্টা, প্রশাসন ও জনগণের সহযোগিতার ফলে অবৈধ দখলকারীরা টিকতে পারছেন না। কিন্তু এখনো ওই চক্রের লোকজন ডিএনসিসির চলমান অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, রাস্তা, ড্রেন, খেলার মাঠ ও পার্কের আধুনিকায়ন সহ্য করতে পারছেন না। যার ফলে ডিএনসিসির চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সরকারি দপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থায় নামে বেনামে নানা ধরনের মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২২

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।