বিবিএ নিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 252 বার পঠিত
সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি মীর আখতার হোসেনের শেয়ার সর্বোচ্চ দামে ক্রয়াদেশ দিয়ে প্রভাবিত করায় দুই বিও (বেনিফিশারি ওনার্স) হিসাব সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ ক্রয়াদেশ দেওয়ার কারণে আইডিএলসি সিকিউরিটিজের একজন ট্রেডারকে (অনুমোদিত প্রতিনিধি) সাময়িকভাবে লেনদেন কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গতকাল বুধবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে লেনদেন শুরুর আগের প্রাক লেনদেন চলাকালে আইডিএলসি সিকিউরিটিজ থেকে মীর আখতার হোসেনের শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দামে ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়। এ ক্রয়াদেশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর দুটি বিও হিসাব থেকে দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তা বিএসইসির সার্ভিলেন্স সফটওয়্যারে চিহ্নিত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিএসইসি থেকে ব্রোকারেজ হাউসটিকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়। পরবর্তীতে ওই ক্রয়াদেশ দু’টি তুলে নেওয়া হয়। এরই ধরাবাহিকতায় যে দুটি বিও হিসাব থেকে ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছিল তা জব্দ করা হয়। তাছাড়া এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ক্রয়াদেশ দেওয়ার কারণে একজন ট্রেডারকে সাময়িকভাবে লেনদেন কার্যক্রম থেকে বিরত রেখেছে ব্রোকারেজ হাউজটি।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সর্বোচ্চ দামে ক্রয়াদেশ দিয়ে মীর আখতার হোসেনের শেয়ারকে প্রভাবিত করায় দুটি বিও হিসাব সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মীর আখতারের লেনদেন শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। প্রথম দিনেই শেয়ারটির দাম সর্বোচ্চ সীমায় উঠে যায়। এ কারণে লেনদেন শুরুর প্রথম দিনের বেশির ভাগ সময়ই এটির শেয়ার বিক্রেতাশূন্য ছিল। আর দ্বিতীয় দিনে বুধবার লেনদেন শুরুর আগে শেয়ারটি দিনের সর্বোচ্চ দামে ১২১ টাকায় ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়টি লেনদেন শুরুর আগে বিএসইসির নজরে আসে। পরবর্তীতে তাৎক্ষণিক বিএসইসি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
Posted ৩:৩৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy