বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সলভ্যান্সি মার্জিন-২০১৯

মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ   |   বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২০   |   প্রিন্ট   |   507 বার পঠিত

সলভ্যান্সি মার্জিন-২০১৯

আমার বীমাশিল্পে আবির্ভাব ১৯৮৬ইং সনের মার্চ মাসে। ১৯৭১ সনের উত্তাল মার্চের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পরে লাঠি নিয়ে প্যারেড করে বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, আবার ভাবি যদি ১৭ মার্চ ক্ষণজন্মা পুরুষ বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, এরই সাথে ১ মার্চ ১৯৬০ সনে বঙ্গবন্ধুর আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান বীমাশিল্পকে মহিমান্বিত করেছে। ভাবতে অবাক লাগে ১৯৬০ সনের জানুয়ারিতেই আমার জন্ম হয়েছিল। আমি ১৯৭১ সনে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৬ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক বিজয় দিবসের দলিলে মিত্রবাহিনীর স্বাক্ষর, ১৯৭২ সনের ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন, রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত থেকে তাঁর ভাষণ শুনেছি ও চাক্ষুষ দেখেছি। তাই দীর্ঘ ৩৪ বছর বীমাশিল্পের সাথে জড়িত থাকার কারণে আমার অভিজ্ঞতার কিছুটা সকলের সাথে শেয়ার করতে চাই।

তাই বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতে বীমাশিল্পে তার অবদানের কথা স্মরণ করে সবচেয়ে কঠিন বিষয় সলভ্যান্সি মার্জিন সমন্ধে কিছু লিখতে চেষ্টা করছি।

আমি ছাড়া আমার পরিবারের সকলেই ব্যবসায়ী, ঘুম থেকে উঠেই শুনি ব্যবসা ভাল যাচ্ছে না। মার্কেটে ক্রেতা নেই, আগের মতো বিক্রয় নেই, এখন অনেক কম্পিটিশন, মার্জিন তেমন থাকে না, বেঁচে থাকাই কষ্ট। তাহলে কি দাঁড়ায় সলভ্যান্সির আগে আমার মার্জিন দরকার, তাই নয় কি? মার্জিন না থাকলে সলভ্যান্সি আসবে কোথা থেকে? এটি আমাদের ভাবিয়ে তোলে।

এখন আমরা মার্জিন অর্থাৎ লাভ বা জমা টাকা কোথায় পাবো? আমার ব্যাংকে বা হাতে নগদ থাকলেই না ব্যাংক বা আমি বলতে পারবো, আমি বা আমার কোম্পানি সলভ্যান্ট কিনা? কথায় আছে কিনতে লাভ করতে না পারলে যতই বিক্রি করো লাভ হবে না। আবার আমরা অনেকে চিন্তা করি বেশি বেশি বীমা পলিসি বিক্রি করলে লাভ না হোক ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে এনে ব্রেক ইভেনে থাকা যাবে। আসলে বাস্তবে নন-লাইফের বীমার যা অবস্থা বীমা গ্রহীতার জন্য কমিশন তো আইডিআরএ কর্তৃক নির্ধারিত আছেই, তবু অনেক ক্ষেত্রে নিজের বেতনটা দিয়েও পার্টির কাছে মাফ চাওয়া লাগে। আগেই ব্যবসায়ী পরিবারের গল্প দিয়ে শুরু করেছিলাম বাস্তবে বীমাশিল্পের অবস্থা আরো খারাপ।

আমি যখন বীমাশিল্পে যোগদান করি তখন কয়েক মাস কেবল Cash Flow Statement করেছিলাম। কোম্পানির প্রাথমিক অবস্থায় অনেক ধরণের খরচ, নতুন অফিস ভাড়া নেয়া, ডেকোরেশন, চেয়ার, টেবিল, গাড়ী, কম্পিউটার, এসি, ফ্যান ইত্যাদি ইত্যাদি। এই খরচ আইডিআরএ কর্তৃক নির্ধারিত মূলধনের অংশ থেকে প্রাপ্য খরচের সীমার অতিরিক্ত যাতে না হয় তাই আয়ের জন্য শাখা খোলার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেখানেও একটি খরচ এসে যায়। তাই প্রতিদিন আয়-ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য ব্যাংকে জমা এবং বিভিন্ন পার্টিকে ইস্যুকৃত চেক যেন Dishonour না হয় সে জন্যই Cash Flow Statement বিশেষভাবে প্রয়োজন। যার কারণে শ্রদ্ধেয় অর্থমন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমানকেCheque Dishonour এর জন্য আইন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

আইডিআরএ কর্তৃক সার্কুলার নং ৬১-৬৫ কার্যকর হওয়ার আগে কোম্পানিগুলো আলো আধারীতে ছিল। শত শত ব্যাংক একাউন্ট থাকাতে Cash Flow Statement করা সম্ভব হতো না। বর্তমানে শত শত হিসাব বাদ দিয়ে কোম্পানিগুলো আইডিআরএ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবের কারণে আর্থিক সচ্ছলতা পেয়েছে। আগে কোম্পানীগুলোর কোটি কোটি টাকা অযথা শত শত একাউন্টে পড়ে থাকতো এখন আর তা থাকে না। ফলে প্রতিদিনই কোম্পানীগুলো তাদের ব্যাংকে রক্ষিত টাকার আর্থিক অবস্থান জানতে পারে এবং সিইওগণ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছেন।

সলভ্যান্সি মার্জিন খুব একটা সহজ বিষয় নহে। পুঙ্খনুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হলে এবং তা বাস্তবায়ন করতে গেলে সলভ্যান্সি মার্জিন-এর সূচক ক্ষেত্র বিশেষে Negativeও আসতে পারে। কেননা সলভ্যান্সি মার্জিন নির্ধারণে ব্যবসার প্রিমিয়াম আয়ের সাথে সাথে যে Factorগুলো কাজ করে তাদের বাদ দিয়ে সলভ্যান্সি মার্জিন নির্ধারণ সম্ভব নয়-

১। বীমা গ্রহীতার কাছ থেকে বীমার প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে হলে এজেন্ট কমিশনের টাকাটা দিয়ে আসতে হয়।
২। কোম্পানিতে কর্মরত উন্নয়ন এবং ডেক্স কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা দিতে হয়।
৩। সরকারকে আয়ের কর দিতে হয়।
৪। ক্ষেত্র বিশেষে বীমা স্ট্যাম্প ক্রয়ে বীমা কোম্পানিগুলোকে নিজস্ব তহবিলের অর্থ খরচ করতে হয়।
৫। ব্যবসা সংগ্রহের জন্য অফিস এবং তার নির্ধারিত খরচ।
৬। বীমাপত্র ইস্যুর জন্য প্রিন্টিং, স্টেশনারি ও অন্যান্য খরচ।
৭। সফটওয়্যার, সার্ভার, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, গাড়ী ইত্যাদি ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ।
৮। পুনঃবীমা খরচ।
৯। দাবি পরিশোধ।
১০। পরিচালনা পর্ষদ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের লভ্যাংশ।
১১। আইডিআরএ কর্তৃক নির্ধারিত পলিসি SMS ও অন্যান্য বাবদ UMP চার্জ যা কোম্পানির খরচকে বাড়িয়ে দিবে।
১২। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে আইডিআরএ কর্তৃক শ্রেণিভিত্তিক রিজার্ভ,
যেমন-মেরিন-৫০%, নন-মেরিন ৫০%, মেরিন হাল ১০০%।
১৩। তাছাড়া Unexpected Loss এর জন্যও রিজার্ভ রাখার কথা বলা হয়েছে।
১৪। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোন ঋণ থাকলে।
১৫। কো-ইন্স্যুরেন্স বাবদ কোন দায়, ইত্যাদি ইত্যাদি।

আইডিআরএ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সলভ্যান্সি মার্জিন-এর প্রবিধান তৈরি করেছেন। এই প্রবিধানের কয়েকটি অংশ রয়েছে। তার ধারাবাহিকতার কোন্ কোন্ অংশ নন-লাইফ বীমার জন্য প্রযোজ্য নয় বলে মনে হয়েছে।

আইডিআরএ সদস্য গকুল চাঁদ দাস তাঁর এক মন্তব্যে যথার্থই বলেছেন সলভ্যান্সি মার্জিন একটি বিশাল বিষয়। চাইলেই খুব দ্রুত এটি চূড়ান্ত করা সম্ভব নয়, তবুও আইডিআরএ এই কঠিন কাজটি প্রবিধানের মাধ্যমে সহজতর করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এই জন্য আইডিআরএ-এর মাননীয় চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ এবং সকল স্তরের কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়।

আইডিআরএ কর্তৃক ইস্যুকৃত সলভ্যান্সি মার্জিন প্রবিধানমালা ২০১৯-এ সম্পদ মূল্যায়ন-তফসিল-১ অনুসারে FORM-VA মোতাবেক নন-লাইফ বীমাকারীদের সম্পদের মূল্যের একটি বিবরণী প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। যার অনেকগুলো আইটেমই নন-লাইফ বীমার সাথে যায় না। তাছাড়া সম্পদগুলোর মূল্য শুন্য বিবেচনা করার কি কোন সুযোগ আছে? একমাত্র ডেডষ্টক ছাড়া। আবার ৩ মাসের অধিককালের পুন:বীমার অনাদায়ী স্থিতি ও শূন্য ধারার বিষয়ে নির্দেশনা কেন তা বোঝা যাচ্ছে না।

সম্পদের বিবরণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নন-লাইফ বীমাকারী FORM-VA মোতাবেক সম্পদের একটি বিবরণ প্রস্তুত করবেন তাতে সঞ্চয়, সরকারী সিকিউরিটি, ইকুইটি, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার/বন্ড, অন্যান্য সিকিউরিটি (সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে)। সম্পত্তিতে বিনিয়োগ স্থাবর সম্পত্তি ও অন্যান্য সম্পদ (সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে)।

সঞ্চয় বলতে ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ না FDR তা স্পষ্ট নহে। তাছাড়া অন্যান্য সিকিউরিটি বলতে কি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকে বুঝানো হয়েছে কিনা তা পরিষ্কার নয়, তবে ধারণা করছি শেয়ার বিনিয়োগই হবে।

দায়ের পরিমাণ নির্ধারণ-তফসিল-২ অনুসারে FORM-VL মোতাবেক প্রত্যেক নন-লাইফ বীমাকারী দায়ের পরিমাণের একটি বিবরণী প্রস্তুত করিবেন। তবে তফসিলে স্বাস্থ্য বীমার বিপরীতে কোন রিজার্ভ সংরক্ষণের কথা বলা নাই। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়া ঝুঁকির বিপরীতে যে রিজার্ভের হার নির্ধারণ করা হয়েছে, যেমন অগ্নি বীমা ব্যবসায় ৫০%, বিবিধ বীমা ব্যবসায় ৫০%, নৌ জাহাজের কাঠামো (Hull) ব্যবসায় ব্যতিত নৌ বীমা ব্যবসায় ৫০% এবং নৌ জাহাজের কাঠামো(Hull) ব্যবসায় পূর্ববর্তী ১২ মাসে গৃহীত বা গৃহীতব্য নেই প্রিমিয়ামের ১০০% রিজার্ভ। সলভ্যান্সি মার্জিন নির্ণয়ের সকল প্যারামিটার ব্যবহার করলে Negative Impact আসতে পারে।

লাইফ নন-লাইফ বীমার ক্ষেত্রে খরচের হারকে নির্ধারিত প্যারামিটারে রাখতে না পারলে সলভ্যান্সি মার্জিন Positive করা দুরুহ কাজ। তাই নন-লাইফ বীমার ক্ষেত্রে বিদ্যমান দু’টি খরচ উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা এবং এজেন্টদের কমিশন। এরমধ্য থেকে যে কোন একটি চালু রেখে অন্যটি বন্ধ না করলে সলভ্যান্সি মার্জিন-এ Positive আসবে না। আরো উল্লেখ্য গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল সেক্টরে বীমার প্রমিয়াম প্রায় ৩৩% কমানোর কারণে বীমা শিল্পের আয়ও কমে যাবে। তাই বিষয়টি আইডিআরএ কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।

সলভ্যান্সি মার্জিন নির্ধারণ-তফসিল-৩ অনুসারে FORM-SM মোতাবেক প্রত্যেক নন-লাইফ বীমাকারী সলভ্যান্সি মার্জিনের একটি বিবরণী প্রস্তুত করিবেন যাতে-পলিসি গ্রাহকদের তহবিলে সমন্বয়কৃত সম্পদ, মোট দায়, পলিসি গ্রাহকদের তহবিলের অন্যান্য দায়, পলিসি গ্রাহকদের তহবিলে অতিরিক্ত (১-২-৩), শেয়ারহোল্ডারদের তহবিলের সমন্বয়কৃত সম্পদ, শেয়ারহোল্ডারদের তহবিলের অন্যান্য দায়, শেয়ারহোল্ডারদের তহবিলের অতিরিক্ত (৫-৬), প্রাপ্তিসাধ্য সলভ্যান্সি মার্জিন (এ.এস.এম.)=(৪+৭) প্রয়োজনীয় সলভ্যান্সি মার্জিন (আর.এস.এম), সলভ্যান্সি অনুপাত (এ.এস.এম)/(আর.এস.এম)।

লাইফ এবং নন-লাইফের কার্যক্রম এক নয়। উভয় সেক্টরের জন্য একই রকম সলভ্যান্সি মার্জিন নীতিমালা প্রযোজ্য নয়, তাই আইডিআরএ কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে ১৯৫৮ সনের বিধিমালার আলোকে নয় বরং বর্তমান আর্থিক অবস্থান বিবেচনা করে লাইফ এবং নন-লাইফের জন্য যুগোপযোগী আলাদা আলাদা সলভ্যান্সি মার্জিন নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক এবং এই নীতিমালা বুঝার এবং বাস্তবায়ন করার জন্য প্রত্যেক বীমা কোম্পানির হিসাব, পুনঃবীমা, সংস্থাপন ও দাবি বিভাগের প্রতিনিধিদের জন্য ১(এক) দিনের কর্মশালার আয়োজন করে হাতে কলমে শিখিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। শিক্ষা, দীক্ষা, সহযোগিতা এবং সহায়তার মাধ্যমে বিষয়টি সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ও সহজতর করার উদ্যোগ অবশ্যি আইডিআরএ কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

সেদিন আর বেশি দূরে নহে আইডিআরএ কর্তৃপক্ষের সার্বিক তত্ত্ত্বাবধানে বীমাশিল্প শৃঙ্খলায় ফিরবে এবং সত্যি সত্যি বঙ্গবন্ধুর ষাট দশকে বীমাশিল্পের সম্পৃক্ততা আলোকিত রূপ পাবে ও বীমাশিল্প দেশ গঠনে রাজস্ব খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে খুলনায় বীমামেলা-২০২০ সার্থক হোক এই প্রত্যাশায়।

* মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোং লি.

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।