শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্তিত্ব সংকটে ব্রোকারহাউজ

সার্থ বিবেচনায় লেনদেনে অগ্রিম আয়কর কমানোর দাবি ডিবিএ’র

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০   |   প্রিন্ট   |   385 বার পঠিত

সার্থ বিবেচনায় লেনদেনে অগ্রিম আয়কর কমানোর দাবি ডিবিএ’র

মহমারী করোনা ভাইরাসের কারণে সংকটে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। চলমান মহামারীর কারনে শেয়ারবাজারেও পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। যে কারণে অনেকটাই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ব্রোকারেজ হাউজগুলো। তাই শেয়ারবাজারের ব্রোকারহাউজের অস্তিত্ব রক্ষায় শেয়ার লেনদেনে অগ্রিম আয়কর কমানোর দাবি জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকারর্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)। আগামী অর্থবছরেও প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান করহার ০.০৫% থেকে কমিয়ে ০.০১৫% করার দাবি জানিয়েছে।

উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। ডিবিএ আগামী বাজেটে লেনদেনের অগ্রিম আয়কর কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে সেটি বিবেচনায় নেয়নি। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ডিবিএ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবারও এই দাবি জানিয়েছে।।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট জনাব শরীফ আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাজারের লেনদেন কমে যাওয়ায়, একমাত্র কমিশন আয়ের উপর নির্ভরশীল ব্রোকারেজ হাউজগুলো ক্রমাগত লোকসানের ফলে তাদের অফিস পরিচালন ব্যয়ভার মেটাতে না পেরে অসংখ্য শাখা অফিস ইত্যিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে এবং আরও অসংখ্য শাখা অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে ব্রোকারদের বানিজ্যিক কার্যক্রমেও স্থবিরতা বিরাজ করছে। কোভিড-১৯ এর ফলে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা ব্রোকারেজ হাউজের এহেন সংকট আরো চরমে পৌঁছেছে।উইঅ

জনাব শরীফ বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন জড়িত। পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়নে ব্রোকারদের বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্তে আমরা শেয়ার লেনদেনের উপর বিদ্যমান অগ্রিম আয়কর ০.০৫% এর পরিবর্তে ০.০১৫% করার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে লিখিত সুপারিশ জানিয়েছি। পুঁজিবাজারসহ ব্রোকারদের সামগ্রীক পরিস্থিতি তথা কোভিড-১৯ এর ফলে আগামীদিনে ব্যবসায় বিরুপ প্রভাবের সম্ভাবনা বিবেচনা করে বিদ্যমান অগ্রিম আয়কর ০.০৫% এর পরিবর্তে ০.০১৫% করে দেয়ার বিনীত সুপারিশ করেছেন।

বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ৩ (তিন) বছরের লক-ইন প্রত্যাহার চেয়ে এই কর হার ১০% এর পরিবর্তে ৫% করার সুপারিশ করেছেন। এর ফলে বাজারে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বাজার সক্রিয় ও শক্তিশালী হবে। এছাড়া কোম্পানী থেকে প্রদেয় ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা বিদ্যমান ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা বৃদ্ধি করে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা এবং অতালিকাভূক্ত কোম্পানীর ন্যয় তালিকাভূক্ত কোম্পানীর ক্ষেত্রেও ২.৫% কর হ্রাস করার সুপারিশ করেছেন। এর ফলে তালিকাভূক্ত কোম্পানীগুলো ব্যবসায়িকভাবে আরো সক্রিয় ও সমৃদ্ধ হবে। যা প্রত্যক্ষভাবে পুঁজিবাজারের জন্যে, বিনিয়োগকারীর জন্যে তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সুফল বয়ে আনবে বলে জনাব শরীফ আনোয়ার মনে করেন।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ২:৩৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।