শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

সুইস ব্যাংকে যেভাবে টাকা রাখা যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০   |   প্রিন্ট   |   618 বার পঠিত

সুইস ব্যাংকে যেভাবে টাকা রাখা যায়

ছবিঃ(সংগৃহীত)

সুইজারল্যান্ডে ২০০-র বেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ক্রেডিট এগ্রিকোল, ইউএসবি, সুইস ক্রেডিট উল্লেযোগ্য। অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে গ্রাহকের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, সম্পদ বিবরণী, আয়কর দেওয়ার তথ্য, টাকার উৎস, পাসপোর্ট নাম্বার, পেশা, বার্ষিক আয়-ব্যয়, বিদেশ ভ্রমণ, নমিনির পরিচিতি ইত্যাদি তথ্য উল্লেখ করতে হবে

সুইজারল্যান্ডের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে অত্যন্ত গোপনে টাকা রাখা হয়। কোন ব্যাংক কর্মকর্তা ইচ্ছা করলেও ওই ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ পরিচয় জানতে পারেন না। এসব তথ্য থাকে গুটিকয়েক কর্মকর্তার হাতে। ফলে ওইসব কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ গ্রাহকদের পরিচিতি সম্পর্কে কোনো কিছুই জানেন না। শুধু একটি কোড নাম্বার ও পাসওয়ার্ডের ভিত্তিতে চলে ব্যাংকিং লেনদেন। জরুরি প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের সন্ধান করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলতে তারা নতুন কিছু আইনকানুন চালু করেছে। এসব নিয়মের আওতায় ব্যাংকগুলোকে এখন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খুলতে গ্রাহকের ছবি, নমিনির ছবি, বিদেশি হলে পাসপোর্টের অনুলিপি, পূর্ণাঙ্গ নামঠিকানা এসব তথ্য লাগবে। তবে ব্যাংকের সব কর্মকর্তা এসব তথ্য দেখতে পারবেন না। অ্যাকাউন্ট খোলার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এসব তথ্য সংগ্রহ করবেন। পরে এগুলো ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মাধ্যমে আইটিভা-ারে চলে যাবে। ওখান থেকে এসব তথ্য অন্য কেউ দেখতে পারবেন না। গ্রাহকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে তাকে একটি আইডি নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। এর ভিত্তিতে যে কেউ গ্রাহকের পক্ষে লেনদেন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের কোনো প্রয়োজন হবে না। আগে গ্রাহকের ছবি বা পূর্ণাঙ্গ নামঠিকানার প্রয়োজন হতো না। শুধু গ্রাহকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই হিসাব খোলা হতো। এর ফলে কালো টাকা ও গ্রাহকের পরিচয় গোপন করে সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখা যেত। বিভিন্ন দেশের কর ফাঁকি দেওয়া বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা পাচার করে সেসব টাকা সুইস ব্যাংকগুলোতে রাখা হতো বলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সুইস সরকার ব্যাংকিং আইনের সংশোধনী আনছে। একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকে টাকা রাখার বিধিবিধানেও পরিবর্তন এনেছে। আরও পরিবর্তন আনার অপেক্ষায় রয়েছে সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক।

নতুন আইনে শুধু নামঠিকানা হলেই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না। গ্রাহকের টাকার উৎস জানাতে হবে। বছরে কত লেনদেন হবে তার সীমাও ব্যাংককে জানাতে হবে। কোনো কারণে সীমার বেশি লেনদেন হলে সেই বিষয়ে ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা দিতে হবে। এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের মূল সার্ভারে। ফলে যে কোনো প্রয়োজনে গ্রাহকের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে ওই সার্ভার থেকে। তবে এতে ব্যাংকের গুটিকয়েক কর্মকর্তার প্রবেশাধিকার থাকবে।

সুইজারল্যান্ডে ২০০-র বেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ক্রেডিট এগ্রিকোল, ইউএসবি, সুইস ক্রেডিট উল্লেযোগ্য। এসব ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, এসব ব্যাংকে এখন অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে গ্রাহকের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, সম্পদ বিবরণী, আয়কর দেওয়ার তথ্য, টাকার উৎস, পাসপোর্ট নাম্বার, পেশা, বার্ষিক আয়-ব্যয়, বিদেশ ভ্রমণ, নমিনির পরিচিতি ইত্যাদি তথ্য উল্লেখ করতে হবে। অর্থ নগদ বা অনলাইনে জমা করা যাবে।

তবে কোনো কোনো ব্যাংক এখন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খোলার কারণ সম্পর্কেও জানতে চাচ্ছে। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো সব অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ফলে যে কোনো দেশ থেকে তাদের ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা সম্ভব।

(সংগৃহীত)

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:৪৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11395 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।