• আইসিবি ৬ ব্যাংকের কাছে ২ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে

    বিবিএনিউজ.নেট | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

    আইসিবি ৬ ব্যাংকের কাছে ২ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে
    apps

    পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারি পাঁচ ব্যাংকের কাছে দুই হাজার কোটি টাকা চেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন বাংলাদেশ (আইসিবি)।

    প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবুল হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সরকারি পাঁচ ব্যাংকের কাছে ২০০ কোটি করে মোট এক হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আরও এক হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো এ টাকা দিলে আমরা তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    ২০০ কোটি টাকা করে যে পাঁচ ব্যাংকের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও বিডিবিএল। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আইসিবি মেয়াদি আমনত হিসেবে এ টাকা নিতে চায়।

    এদিকে পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে সম্প্রতি বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও টানা দরপতন চলছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছি লেনদেন খরা। ফলে প্রতিনিয়ত বিনয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।


    বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও তারল্য সংকের কারণে বাজারে এমন দুরবস্থা বিরাজ করছে। বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়ানো গেলে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

    এর আগে, পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটাতে রেপোর (পুনঃক্রয় চুক্তি) মাধ্যমে অর্থ সরবারহের বিষয়ে বংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপনের পর বাজারে সাময়িক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। তবে সপ্তাহ না ঘুরতেই আবার পতনের মধ্যে ফিরে যায় পুঁজিবাজর। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিটি কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে।

    এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের জন্য সরকারি ব্যাংকের কাছে আইসিবির টাকা চাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজর সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, আইসিবি টাকা পেল এবং সেই টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে বাজারে তারল্য বাড়ার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বাড়বে।

    এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ডিবিএ) সভাপতি মো. শাকিল রিজভী বলেন, আইসিবির টাকা চাওয়ার বিষয়টি ভালো সংবাদ। দুই হাজার কোটি টাকা কম না। এ টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হলে কিছুটা হলেও তারল্য বাড়াবে। সেই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বড়বে। তবে আইসিবিকে অবশ্যই ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে হবে।

    ডিএসইর এক সদস্য বলেন, আইসিবি টাকা পেলে এবং সেই টাকা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করলে বাজারের জন্য ভালো। কিন্তু আইসিবি যদি টাকা পাওয়ার পর সেই টাকা আইপিও অথবা প্লেসমেন্টে বিনিয়োগ করে তাবে তা বাজারের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। তাই আইসিবি যাতে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

    ডিএসইর ওই সদস্য আরও বলেন, এর আগেও আইসিবি বাজারে বিনিয়োগের জন্য তহবিল পেয়েছে। কিন্তু আমাদের ধারণা, সেই টাকা সঠিকভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হয়নি। যে কারণে বাজারের সমস্যাও কাটেনি। তবে আশার কথা, সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়েছেন, আইসিবিকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা হবে। এটা যদি সত্য হয় তাহলে আশা করা যায় সামনে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    Archive Calendar

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫১৬
    ১৭১৮১৯২০২১২২২৩
    ২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি