নিজস্ব প্রতিবেদকঃ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৬:০১ অপরাহ্ণ
পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে, গোপনে শেয়ার বিক্রয়কারী উদ্যোক্তা পরিচালক ও বিনিয়োগকারীদের নজরদারীর আওতায় আনছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এক্ষেত্রে সংস্থাটির নির্দেশনায় ইতোমধ্যে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সফটওয়্যার তৈরির কাজ শুরু করেছে। বিএসইসি’র একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে এমনটাই জানা যায়।
সূত্র জানায়, উদ্যোক্তা পরিচালকরা যেন পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আর কোন শেয়ার বিক্রি করতে না পারে সেজন্য এই পদক্ষেপ। কারণ ঘোষণা ছাড়া শেয়ার বিক্রিতে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি রাজস্ব বঞ্চিত হয় সরকার। যা সিকিউরিটিজ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই প্রতিটি কোম্পানির স্পন্সর পরিচালক এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তরের আগে বাধ্যতামূলক ঘোষণার ব্যবস্থা রাখতে বিএসইসি’র কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। ফলশ্রুতিতে যেসব পরিচালকদের বিরুদ্ধে গোপনে শেয়ার বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তাদের নজরদারির আওতায় আনছে সিডিবিএল।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান জানায়, ঘোষণা ছাড়া শেয়ার বিক্রি হয়েছে এমন কিছু তথ্য বিএসইসির হাতে এসেছে, যা সিকিউরিটিজ আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। বিএসইসি এসব অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, ঘোষণা ছাড়া শেয়ার বিক্রি হলে পুরো বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনকি সরকারও এমন লেনদেনে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। কারণ স্পন্সর-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির উপর সরকারকে পাঁচ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হয়।
সিডিবিএল সূত্র জানায়, বিএসইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী সফটওয়্যারের একটি মডিউল তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কোনও উদ্যোক্তা পরিচালক, প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডার ঘোষণা ছাড়া তাদের শেয়ার হস্তান্তর করতে পারবেন না। সিডিবিএলের এই কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) অনুমোদন করেছে।
উল্লেখ্য, সিকিউরিটিজ আইনে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার হস্তান্তরে তিন বছরের লকইন থাকে। লকইনের মেয়াদ শেষে স্টক এক্সচেঞ্জে ঘোষণা দিয়ে শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারে। যা সিকিউরিটিজ আইনের ৩৪ ধারায় উল্লিখিত রয়েছে।
সূত্র: জে.আই/ঢাকা।
বাংলাদেশ সময়: ৬:০১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed