নিজস্ব প্রতিবেদক: | মঙ্গলবার, ০৭ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 495 বার পঠিত
সাধারণত এক থেকে দেড়মাস পরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাস। সে হিসেবে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ দেশের জন্য মারাত্মক সময় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই এলাকাভিত্তিকের পরিবর্তে দেশজুড়ে লকডাউন কার্যকর করার অভিমত তাদের।
বিশ্ব কাঁপানো করোনা প্রাদূর্ভাব বাংলাদেশে এপ্রিল ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত সহনীয় ছিলো। তবে ইতিমধ্যে স্বরূপে দেখা দিচ্ছে এই মহামারী। গত তিনমাসে বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়- প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর রোগীর সংখ্যা বেড়েছে গাণিতিক হারে। তখনই সীমিত আকারে দেখা দেয় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। এর পরের ধাপে আক্রান্তের সংখ্যা ছড়াতে থাকে জ্যামিতিক হারে। এই পর্যায়ে শুরু হয় গণসংক্রমণ। এক থেকে দেড় মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে একপর্যায়ে ছোঁয় চূড়ান্ত সীমা। এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে সংখ্যা। তবে সেই সর্বোচ্চচূঁড়া কোথায় হবে তা নির্ভর করে সেই দেশের সার্বিক প্রস্তুতির ওপর।
সেই হিসেবে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ এ দেশের জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, এপ্রিলের মাঝামাঝি বা শেষেও হতে পারে এটা বড় আকার ধারণ করতে পারে। এখন যেভাবে বাড়তেছে সেটা জ্যামিতি হারে বাড়তেছে। তাছাড়া আগে টেস্ট কম হচ্ছিলো বলে কম রোগী ধরা পড়ছিলো। কিন্তু এখন টেস্ট বেশি হওয়ায় ধরাও পড়ছে বেশি ।
সাধারণ ছুটি ঘোষণায় অনেকটা সুফল মিললেও তবে প্রতিদিনের টেস্টের রিপোর্ট দেখে পরিকল্পনা করার পরামর্শ তাদের। সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা প্রনয়ন করতে পারলে দেশের বাস্তবতায় বর্তমান সামর্থ্যের মধ্যেই করোনার লাগাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে মনে করছেন।
অপরদিকে ব্যবস্থাপনা দিকেও নজর দেয়ার তাগিদ জানিয়েছেন তারা। বিষয়টা অনেকটা এরকম, আমার কত টাকা পয়সা ও জিনিসপত্র রয়েছে সেটা দেখার বিষয় নয়। বরং আমার যা আছে, সেটা কীভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় সেটা দেখতে হবে। এছাড়া পুরো দেশ লকডাউন রেখে প্রয়োজন ছুটি আরো বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে।
Posted ১:২৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | rina sristy