বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

দেশে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ কোটিপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ২৪ জুন ২০২০   |   প্রিন্ট   |   409 বার পঠিত

দেশে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ কোটিপতি

দেশে কোটিপতি মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ নগদ কোটি টাকার মালিক। স্থাবর সম্পদ বিবেচনায় নিলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

এদিকে নানা সংকটের মধ্যেও ব্যাংকিং খাতে বেড়ে চলেছে কোটিপতি আমনতকারীর হিসাব। বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৮৩ হাজার ৮৩৯টি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ভিত্তিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ২১১টি। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার ৮৩৯টি। এ সময়ে ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ১৪ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৪৩ দশমিক ৩৯ শতাংশই কোটিপতিদের দখলে। তাদের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা।

তিন মাস আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দেশে কোটিপতির হিসাব সংখ্যা ছিল ৭৯ হাজার ৮৭৭টি। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে কোটিপতিদের হিসাবের সংখ্যা বেড়ে তিন হাজার ৯৬২টি। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে কোটিপতি হিসাব ছিল ছিল ৭৫ হাজার ৫৬৩টি। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে আট হাজার ২৭৬টি।

তবে কোটিপতিদের আমানত বাড়াকে ভালো চোখে দেখছেন না অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ। সমাজে বৈষম্য ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটি গোষ্ঠির মধ্যে সীমাদ্ধ থাকার কারণে দেশের কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন তিনি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি মুক্তিযোদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতির নিয়মে চলছে না। বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি ছিল আমাদের প্রবৃদ্ধি যতই হোক তা সমান ভাগে দেশের জনগণের মধ্যে বণ্টন হবে। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না। বর্তমানে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হচ্ছে কিন্তু তা সমানভাবে বণ্টন হচ্ছে না। সম্প্রতি সিপিডি এক গবেষণা বলছে প্রবৃদ্ধি শতকরা ৫ ভাগ লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ। যার কারণে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে মানে বড়লোক বাড়ছে।

তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ প্রবৃদ্ধির সুফল পাচ্ছে না তার প্রমাণ করোনার মধ্যে আমরা পেয়েছি। যাদের আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত বলি তারা মাসখানিক আয় না থাকায় টিকে থাকতে পারছে না। তার মানে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তের কাছে টাকা পয়সা নেই। দেশর অর্থ মুষ্টিমের কিছু লোকের কাছে পুঁঞ্জি হয়ে আছে। এটি হতেই থাকবে যতদিন পর্যন্ত এ নিয়ম পরিবর্তন না হবে বলে তিনি জানান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৫ হাজার ৯১৯টি। বছরের ব্যবধানে এ অংকের হিসাব বেড়েছে ছয় হাজার ৬৬১টি। এর আগে ২০১৮ সালে যা ছিল ৫৯ হাজার ২৫৮টি। এছাড়া ডিসেম্বর শেষে পাঁচ কোটি এক টাকা থেকে ১০ কোটির মধ্যে ৯ হাজার ৪২৬ জন, ১০ কোটি এক টাকা থেকে ১৫ কোটির মধ্যে তিন হাজার ১৮৪ জন, ১৫ কোটি এক টাকা থেকে ২০ কোটির মধ্যে এক হাজার ৪৭২ জন, ২০ কোটি এক টাকা থেকে ২৫ কোটির মধ্যে ৯৯৭ জন, ২৫ কোটি এক টাকা থেকে ৩০ কোটির মধ্যে ৫৮৮ জন, ৩০ কোটি এক টাকা থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ২৪৬ জন এবং ৩৫ কোটি এক টাকা থেকে ৪০ কোটির মধ্যে ৩৮৪ জন আমানতকারী হিসাব রয়েছে। গত এক বছরে ৪০ কোটি এক টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮৪টি, যা ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছিল ৩৫৮টি।

আলোচিত সময়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ২৮৩টিতে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ সালে যা ছিল এক হাজার ১৪৮টি। অর্থাৎ এক বছরে ৫০ কোটি টাকার বেশি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩৫টি।

Facebook Comments Box
top-1

Posted ১১:৫৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৪ জুন ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11549 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।