মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গবেষণার তথ্য

রাজধানীর প্রায় অর্ধেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত

বিবিএনিউজ.নেট   |   মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০   |   প্রিন্ট   |   253 বার পঠিত

রাজধানীর প্রায় অর্ধেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতেই বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল। আর এতে আক্রান্ত হয়েছে রাজধানীর প্রায় অর্ধেক মানুষ। ভাইরাসটির বিস্তার ও জিন গবেষণা করে এমন তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা। গতকাল গুলশানের একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে গবেষণার এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ও বেসরকারি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) যৌথভাবে এ গবেষণা পরিচালনা করে।

গবেষণায় বলা হয়, রাজধানী ঢাকার ৪৫ শতাংশ সাধারণ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পজিটিভ। শহরের বস্তিতে এ হার আরো বেশি, ৭৪ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং ১৮ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। যারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে তাদের মধ্যে ৯৪ শতাংশের শরীরে পরীক্ষার সময় লক্ষণ ছিল না। লক্ষণ ছিল মাত্র ৬ শতাংশের শরীরে।

গবেষণার জন্য দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্য থেকে ২৫টি ওয়ার্ড বেছে নেয়া হয়। প্রতি ওয়ার্ড থেকে একটি মহল্লা বাছাই করা হয়। প্রতি মহল্লা থেকে ১২০টি খানা জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া আটটি বস্তিকে গবেষণায় যুক্ত করা হয়। ১২ হাজার ৬৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত পাওয়া গেছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে সাধারণ পরিবার এবং জুলাই থেকে আগস্টে বস্তির পরিবারের নমুনা গবেষণার জন্য নেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআর,বির গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউএসএআইডি মিশন ডিরেক্টর ডেরিক এস ব্রাউন।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনায় আমাদের দেশে বৃদ্ধ বয়সের মানুষের মৃত্যু অন্য দেশগুলোর তুলনায় কম। যে কারণে মৃত্যুহার কিছুটা কম। যদিও বয়স হিসেবে বাংলাদেশেও বৃদ্ধরাই মারা গেছেন।

আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, দেশে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে কভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য এটাকে কেস ফাইন্ডিং বলা যায় না। আমরা একটা সফটওয়্যারের ডাটা থেকে এটা পেয়েছি।

এদিকে বাংলাদেশে মানুষের রোগ প্রতিরোধ (হার্ড ইমিউনিটি) আছে এ মুহূর্তে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর। তিনি বলেন, মৃত্যুহার কম কেন, এটার আসলে আলাদা কোনো ব্যাখ্যা নেই। বাংলাদেশে কিছু দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, এটা একটা কারণ হতে পারে। তবে এ স্বল্প পরিসরের গবেষণা দিয়ে মৃত্যুহারের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া যায় না। ইমিউনিটি ভাইরাস থেকে বেঁচে যাওয়ার একমাত্র কারণ নয় বলেও উল্লেখ করেন গবেষকরা।

দেশে দ্বিতীয়বার কভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার কিছু তথ্যও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা ও টিকা দেয়ার ব্যাপারে এসব তথ্য কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী বলেন, আমরা দ্রুত পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, যার সুফল দেশের মানুষ পেয়েছে। এ পর্যন্ত ১ থেকে ১০৯টি ল্যাব হয়েছে, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাসহ অন্যান্য সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Facebook Comments Box
বিষয় :
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১২:৪৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।